WBCHSE Sanskrit Grammar-Sandhi
উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত ব্যাকরণ-সন্ধি
উচ্চতর সংস্কৃত ব্যাকরণ-সন্ধি
সংস্কৃত শিক্ষা এর অন্যান্য পাঠ্য
সংস্কৃত ব্যাকরণ-শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য
বর্ষাবর্ণনম্ এর মূলপাঠ, অন্বয়, শব্দার্থ ও বঙ্গানুবাদ
শ্রীমতী গল্পের মূলপাঠ, অন্বয়, শব্দার্থ ও বঙ্গানুবাদ
হাসবিদ্যকথা গল্পের মূলপাঠ, অন্বয়, শব্দার্থ ও বঙ্গানুবাদ
(toc) #title=( সূচিপত্র)
পাঠ্য সম্পর্কিত তথ্যঃ
পাঠ্যের নাম |
সংস্কৃত ব্যাকরণ-সন্ধি : সংস্কৃত শিক্ষা || উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত |
উৎস |
সংস্কৃত শিক্ষা : উচ্চতর সংস্কৃত ব্যাকরণ |
শ্রেণী |
সপ্তম শ্রেণী, অষ্টম শ্রেণী, একাদশ শ্রেণী, দ্বাদশ শ্রেণী ও উচ্চতর সংস্কৃত ব্যাকরণ। |
সেমিস্টার |
একাদশ শ্রেণী এর প্রথম সেমিস্টার |
| বিষয় | সংস্কৃত ব্যাকরণ-সন্ধি |
সংস্কৃত ব্যাকরণ-সন্ধি : সংস্কৃত শিক্ষা || উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত নামক এই পাঠ্যে সন্ধির সুত্র সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং সন্ধির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃত ব্যাকরণ-সন্ধি : সংস্কৃত শিক্ষা || উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত - এই পাঠ্যে সপ্তম শ্রেণী তথা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের উপযোগী করে সংস্কৃত ব্যাকরণের সন্ধি অতি সহজ সরল ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও সংস্কৃত ব্যাকরণ-সন্ধি : সংস্কৃত শিক্ষা || উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত নামক এই পাঠ্যে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত ব্যাকরণ এর সন্ধি বিষয়টিকে WBCHSE এর সংস্কৃতের নতুন সিলেবাস অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের উপযোগী করে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যাতে তারা অতি সহজেই সংস্কৃত ব্যাকরণের সন্ধি বিষয়টিকে বুঝতে পারে এবং পরীক্ষায় সর্বাধিক সাফল্য অর্জন করতে পারে। সংস্কৃত ব্যাকরণ-সন্ধি : সংস্কৃত শিক্ষা || উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত নামক পাঠ্যে উচ্চতর সংস্কৃত ব্যাকরণ এর সন্ধি বিষয়টিকেও বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। যাতে উচ্চশিক্ষার শিক্ষার্থীরাও সংস্কৃত ব্যাকরণের সন্ধি প্রকরণটি সংস্কৃত ব্যাকরণ-সন্ধি : সংস্কৃত শিক্ষা || উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত নামক এই পাঠ্য থেকে সন্ধি বিষয়ক প্রাসঙ্গিক পাণিনীয় সুত্র ও তার ব্যাখ্যা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে ও আত্মস্থ করতে পারে।
সন্ধির সংজ্ঞা
‘সন্ধি’ শব্দের অর্থ মিলন। পাণিনি সন্ধির যে নিয়ম বলেছেন সেটি হল: “পরঃ সন্নিকর্ষঃ সংহিতা” (১/৪/১০৯)। অর্থাৎ খুব দ্রুত
উচ্চারণের ফলে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি বর্ণের পারস্পরিক ধ্বনিগত মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধির
ক্ষেত্রে যেহেতু দুটি বর্ণ অত্যন্ত কাছাকাছি চলে আসে তাই সন্ধিকে ‘সংহিতা’ বলা হয়। ‘মহা’ আর ‘আলয়ঃ’ দুটি শব্দ খুব তাড়াতাড়ি উচ্চারণ করলে হবে ‘মহালয়ঃ’। অর্থাৎ দুটো ‘আ’ মিলে
একটা ‘আ’ - তে পরিণত হল। এইভাবে ধ্বনির সন্নিকৃষ্ট হওয়াকেই সন্ধি বলে।
সন্ধির ফলে বর্ণগুলির বিভিন্ন পরিবর্তন
সন্ধির ফলে বর্ণগুলির মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পরিবর্তন ঘটে।
যেমন :-
কখনও আগের বর্ণের পরিবর্তন হয়, যেমন - সৎ + গতিঃ = সদ্গতিঃ।
কখনও পরের বর্ণের পরিবর্তন হয়, যেমন - কৃষ + তঃ = কৃষ্টঃ।
কখনও দুটি বর্ণেরই পরিবর্তন হয়, যেমন - তৎ হিতম্ = তদ্ধিতম্।
কখনও আগের বর্ণটি কেবল লোপ হয়, যেমন - নরঃ + আগচ্ছতি = নর আগচ্ছতি।
আবার কখনও অতিরিক্ত বর্ণের আগমন ঘটে, যেমন - বৃক্ষ + ছায়া = বৃক্ষচ্ছায়া।
সন্ধির বিশেষত্ব
সন্ধিতে বর্ণের মিলনের ফলে উচ্চারণগত সৌকর্য আসে। তাই সেখানে সন্ধি স্বীকার
করা হয়। এই সৌকর্যের কারণে ‘বৃক্ষচ্ছায়া’ - তে অতিরিক্ত একটি বর্ণের আগমন ঘটলেও সন্ধি স্বীকার করা হয়েছে।
যেসব ক্ষেত্রে সন্ধি অবশ্যই করতে হয়
সন্ধির প্রসঙ্গ থাকলে যেসব ক্ষেত্রে সন্ধি অবশ্যই করতে হয়
সেই বিষয়ের নিয়মগুলি সম্পর্কিত শ্লোকটি হলো: -
“সংহিতৈকপদে নিত্যা নিত্যা ধাতুপসর্গয়োঃ।
সমাসেহপি চ নিত্যা স্যাৎ সা চান্যত্র বিভাষিতা।।”
অর্থাৎ একটি পদের মধ্যে সন্ধি অবশ্যই করতে হবে, যেমন - নে + অনম্ = নয়নম্। নয়নম্ একটি পদ, এখানে ‘নেঅনম্’ রাখা
যাবে না।
ধাতু এবং উপসর্গের মধ্যে সন্ধি অবশ্যই করতে হবে, যেমন - প্রতি + অগচ্ছৎ = প্রত্যাগচ্ছৎ। ‘প্রতিঅগচ্ছৎ’ এরকম হবে না।
সূত্রে সন্ধি অবশ্যই করতে হবে। যেমন – সন্ধি প্রকরণে পাণিনি সূত্র করেছেন বৃদ্ধিঃ
+ এচি = ‘বৃদ্ধিরেচি’। এখানে ‘বৃদ্ধিঃএচি’
এভাবে রাখা যাবে না।
সমাসে সমস্যমান পদগুলি মিলিত হয়ে একপদ হয় বলে সমাসেও সন্ধি অবশ্যই করতে হবে। যথা, দেব (দেবস্য) + আলয়ঃ = দেবালয়ঃ, এখানে দেবস্যআলয়ঃ
এরকম কখনোই হবে না। ‘দেবালয়ঃ ‘ করতেই হবে।
শ্লোকের মধ্যে সন্ধি অবশ্যই করতেই হবে। যেমন - ব্যাপ্তং ত্বয়ৈকেন দিশশ্চ
সর্বাঃ। এখানে ‘ব্যাপ্তং ত্বয়া একেন
দিশঃ চ সর্বাঃ’ - এইভাবে
রাখা যাবে না। তবে দ্বিতীয় পাদের শেষবর্ণ এবং তৃতীয় পাদের প্রথম বর্ণে সন্ধি হয় না
(নিত্যং সংহিতৈকপদবৎ পাদেম্বদ্ধান্তবর্জ্জম্ - বামনঃ)। “যো ধ্রুবাণি পরিত্যজ্য
অশ্রুবাণি নিষেবতে” প্রভৃতি এই নিয়মের ব্যভিচার। কারণ, এখানে শ্লোকের মাঝখানেও সন্ধি হয়নি।
যেসব ক্ষেত্রে সন্ধি অবশ্যই লেখকের ইচ্ছাধীন
একপদে, ধাতু ও
উপসর্গের মধ্যে, সূত্রে, শ্লোকের মধ্যে, এবং সমাসের ক্ষেত্র ছাড়া অন্য স্থলে
সন্ধি করা লেখকের ইচ্ছাধীন। যেমন গদ্যের বাক্যের মধ্যে সন্ধি করা যেতে পারে, আবার নাও পারে।
সন্ধির প্রকারভেদ
সন্ধি তিন প্রকার, যথা :-
স্বরসন্ধি :-
স্বরবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বলে।
যথা :-
দক্ষিণ + অরণ্যে = দক্ষিণারণ্যে
রাম + অয়নম্ = রামায়ণম্
লোক + অপবাদঃ = লোকাপবাদঃ
অবলোক্য + অচিন্তয়ৎ = অবলোক্যাচিন্তয়ৎ
কৃত + অর্থঃ = কৃতার্থঃ
ইতি + আদি = ইত্যাদি।
ব্যঞ্জনসন্ধি :-
ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের বা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি
বলে।
যথা :-
তৎ + রূপম্ = তদ্রূপম্
বিদ্যুৎ + বেগেন = বিদ্যুদ্বেগেন
উৎ + যোগঃ = উদ্যোগঃ
ভগবৎ + গীতা = ভগবদ্গীতা
হরিৎ + বর্ণঃ = হরিদ্বর্ণঃ
মহৎ + ভয়ম্ = মহপ্তয়ম্
সৎ + উক্তিঃ = সদুক্তিঃ
তড়িৎ + আলোকঃ = তড়িদালোকঃ
জগৎ + ঈশঃ = জগদীশঃ
বৃহৎ + ঘটঃ = বৃহদ্ঘটঃ
সৎ + চরিত্রঃ = সচ্চরিত্রঃ
অসৎ + চিন্তা = অসচ্চিন্তা
শরৎ + চন্দ্রঃ = শরচ্চন্দ্রঃ
যাবৎ + জীবনম্ = যাবজ্জীবনম্
উৎ + চারণম্ = উচ্চারণম্
উৎ + জ্বলঃ = উজ্জ্বলঃ
চলৎ + চিত্রম্ = চলচ্চিত্রম্
মহৎ + ছত্রম্ = মহচ্ছত্রম্
বিপৎ + চয়ঃ = বিপচ্চয়ঃ
মহৎ + ঝঞ্ঝা = মহঝঞ্ঝা ইত্যাদি।
বিসর্গসন্ধি :-
বিসর্গের সঙ্গে স্বরবর্ণের বা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে বিসর্গসন্ধি বলে।
বিসর্গসন্ধির উদাহরণ :-
সরঃ + বরঃ = সরোবরঃ
মনঃ + রমম্ = মনোরমম্
পয়ঃ + ধরঃ = পয়োধরঃ
পুরঃ + হিতঃ = পুরোহিতঃ
অশ্বঃ + ধাবতি = অশ্বো ধাবতি
সদ্যঃ + জাতঃ = সদ্যোজাতঃ
বালকঃ + গচ্ছতি = বালকো গচ্ছতি
পয়ঃ + দঃ = পয়োদঃ ইত্যাদি।
এছাড়া, পাণিনি
- ব্যাকরণ অনুসারে আর - এক প্রকার সন্ধি আছে, তাকে বলে ‘প্রগৃহ্য সন্ধি’ বা ‘প্রকৃতিভাব সন্ধি’। প্রকৃতিভাব অর্থাৎ স্ব-রূপে অবস্থান, কোন প্রকার বিকার বা পরিবর্তন না হওয়া। প্রকৃত্যাহন্তঃ পাদমব্যপরে (৬/১/১১৫) এই সুত্রের প্রকৃত্যা পদটিকে আশ্রয় করে প্রকৃতিভাব শব্দটি ব্যবহৃত হয়। প্রকৃতপক্ষে সন্ধির প্রসঙ্গ থাকলেও যে সন্ধি নিষিদ্ধ করা
হয়েছে সেই সন্ধিকে প্রকৃতিভাব সন্ধি বলা হয়। এক্ষেত্রে সন্ধি করলেও বর্ণগুলির আগের
প্রকৃতিই বর্তমান থাকে, কোনো
বিকৃতি হয় না। যেমন - হরে + এহি
= হরয়েহি (এখানে স্বরসন্ধি হয়েছে), কিন্তু, লতে + এতে = লতে এতে (এখানে প্রকৃতিভাব সন্ধি হয়েছে)।
বিসর্গর প্রকারভেদ
বিসর্গ দুরকমের একটি স্-কার থেকে উৎপন্ন,
যেমন - মনস্ > মনঃ,
শিরস্ > শিরঃ, যশস্>
যশঃ ইত্যাদি; আর একটি র্-কার থেকে উৎপন্ন, যেমন - পুনর্> পুনঃ, অন্তর্ > অন্তঃ, প্রাতর্ > প্রাতঃ ইত্যাদি।
সন্ধির থেকে আগত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ সন্ধি কাকে বলে ?
উত্তরঃ- “পরঃ সন্নিকর্ষঃ সংহিতা” অর্থাৎ খুব দ্রুত উচ্চারণের ফলে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি বর্ণের পারস্পরিক ধ্বনিগত মিলনকে সন্ধি বলে।
যথা :-
দক্ষিণ + অরণ্যে = দক্ষিণারণ্যে।
রাম + অয়নম্ = রামায়ণম্।
লোক + অপবাদঃ = লোকাপবাদঃ।
প্রশ্নঃ সন্ধি কত প্রকার ও কি
কি ?
উত্তরঃ- সন্ধি তিন প্রকার, যথা
:-
(১) স্বরসন্ধি বা অচ্ সন্ধি
(২) ব্যঞ্জনসন্ধি বা হল্ সন্ধি ও
(৩) বিসর্গসন্ধি।
প্রশ্নঃ স্বরসন্ধি কাকে বলে ?
উত্তরঃ- স্বরবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বলে। যথা :- দক্ষিণ + অরণ্যে = দক্ষিণারণ্যে; রাম + অয়নম্ = রামায়ণম্।
প্রশ্নঃ ব্যঞ্জনসন্ধি কাকে বলে ?
উত্তরঃ- ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের বা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। যথা :- তৎ
+ রূপম্ = তদ্রূপম্; বিদ্যুৎ
+ বেগেন = বিদ্যুদ্বেগেন।
প্রশ্নঃ বিসর্গসন্ধি কাকে বলে ?
উত্তরঃ- বিসর্গের সঙ্গে স্বরবর্ণের বা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে বিসর্গসন্ধি বলে। যথা :- সরঃ
+ বরঃ = সরোবরঃ; মনঃ +
রমম্ = মনোরমম্।
প্রশ্নঃ সন্ধিতে মিলিত ধ্বনিদ্বয়ের
কিরূপ পরিবর্তন ঘটে ?
উত্তরঃ- সন্ধির ফলে বর্ণগুলির মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পরিবর্তন ঘটে।
যেমন :-
কখনও আগের বর্ণের পরিবর্তন হয়, যেমন - সৎ + গতিঃ = সদ্গতিঃ।
কখনও পরের বর্ণের পরিবর্তন হয়, যেমন - কৃষ + তঃ = কৃষ্টঃ।
কখনও দুটি বর্ণেরই পরিবর্তন হয়, যেমন - তৎ হিতম্ = তদ্ধিতম্।
কখনও আগের বর্ণটি কেবল লোপ হয়, যেমন - নরঃ + আগচ্ছতি = নর আগচ্ছতি।
আবার কখনও অতিরিক্ত বর্ণের আগমন ঘটে, যেমন - বৃক্ষ + ছায়া = বৃক্ষচ্ছায়া।
প্রশ্নঃ কোন কোন ক্ষেত্রে সন্ধি অবশ্যই করতে হয় ?
উত্তরঃ- সন্ধির প্রসঙ্গ থাকলে যেসব ক্ষেত্রে সন্ধি অবশ্যই করতে হয় সেই বিষয়ের নিয়মগুলি সম্পর্কিত শ্লোকটি হলো: -
“সংহিতৈকপদে নিত্যা নিত্যা ধাতুপসর্গয়োঃ।
সমাসেহপি চ নিত্যা স্যাৎ সা চান্যত্র বিভাষিতা।।”
অর্থাৎ একটি পদের মধ্যে সন্ধি অবশ্যই করতে হবে, যেমন - নে + অনম্ = নয়নম্। ধাতু এবং উপসর্গের মধ্যে সন্ধি
অবশ্যই করতে হবে, যেমন -
প্রতি + অগচ্ছৎ = প্রত্যাগচ্ছৎ। সূত্রে সন্ধি অবশ্যই করতে হবে। যেমন – সন্ধি
প্রকরণে পাণিনি সূত্র করেছেন বৃদ্ধিঃ + এচি = ‘বৃদ্ধিরেচি’। সমাসে সন্ধি অবশ্যই
করতে হবে। যথা, দেব
(দেবস্য) + আলয়ঃ = দেবালয়ঃ, শ্লোকের
মধ্যে সন্ধি অবশ্যই করতেই হবে। যেমন - ব্যাপ্তং ত্বয়ৈকেন দিশশ্চ সর্বাঃ।
প্রশ্নঃ কোন কোন ক্ষেত্রে সন্ধি লেখকের ইচ্ছাধীন ?
উত্তরঃ- একপদে, ধাতু ও
উপসর্গের মধ্যে, সূত্রে, শ্লোকের মধ্যে, এবং সমাসের ক্ষেত্র ছাড়া অন্য স্থলে সন্ধি করা লেখকের
ইচ্ছাধীন। যেমন গদ্যের বাক্যের মধ্যে সন্ধি করা যেতে পারে, আবার নাও পারে।
প্রশ্নঃ বিসর্গ কত প্রকার ও কি
কি ?
উত্তরঃ- বিসর্গ দুই প্রকার যথা :- স্ জাত বিসর্গ ও র্ জাত বিসর্গ। স্-কার থেকে যে বিসর্গ উৎপন্ন হয় তাকে স্ জাত বিসর্গ বলে। যেমন - মনস্ > মনঃ, শিরস্ > শিরঃ, যশস্> যশঃ ইত্যাদি; র্-কার থেকে যে বিসর্গ উৎপন্ন হয় তাকে র্ জাত বিসর্গ বলে। যেমন - পুনর্> পুনঃ, অন্তর্ > অন্তঃ, প্রাতর্ > প্রাতঃ ইত্যাদি।
আরো পড়ুন ........
‘আর্যাবর্তবর্ণনম্’ এর মূল পাঠ ও বাংলায় অনুবাদ
দৃশ্যকাব্য নাট্যসাহিত্য এর সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর
আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ । এই ভাবেই Sanskrit Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। আপনার ছাত্রছাত্রী, বন্ধু-বান্ধবী সকলকে sanskritshiksha.in ওয়েবসাইট সম্পর্কে এবং এর তথ্যপূর্ণ নোটস সম্পর্কে জানান।
যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে sanskritshiksha.in ওয়েবসাইট টি ফলো করুন এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন। সংস্কৃতি শিক্ষা
ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার মতামত জানান।
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত সাদরে বিবেচনা করা হবে। ধন্যবাদ।

No comments:
Post a Comment