চরক সংহিতা সম্পর্কে একটি তথ্যমূলক নিবন্ধ রচনা কর।
এবং
সংস্কৃত গীতিকাব্যের নমুনা রূপে মেঘদূতম এর স্থান নিরূপণ কর ।
Write an informative article on Charak Samhita.
And
Determine the place of Meghadutam as a model of Sanskrit lyric poetry.
Charak Samhita || Meghadutam || Kalidasa || চরক সংহিতা || কালিদাস || মেঘদূতম।
Charak Samhita || Meghadutam Of Kalidasa HS Sanskrit Question and Answer. || চরক সংহিতা || কালিদাসের মেঘদূতম HS সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর। Class 12 History of Sanskrit Literature. HS সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস।
(toc) #title=( সূচিপত্র)
সংস্কৃত শিক্ষক কর্তৃক কুড়ি বছরের শিক্ষকতা করার
অভিজ্ঞতা প্রসূত এই নোটস গুলি সংস্কৃত বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ১০০% নম্বর পাওয়ার
যোগ্য করে রচিত। Class 12 এর বহু ছাত্র-ছাত্রী এই নোটস্ লিখে পরীক্ষায় ৯০%
থেকে ১০০% নম্বর পেয়েছে।
পাঠ্য সম্পর্কিত তথ্যঃ
| পাঠ্যের নাম | সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস |
| উৎস | গীতিকাব্য ও প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞান সাহিত্য |
| মূল গ্রন্থ | মেঘদূতম্ ও চরক সংহিতা |
| গ্রন্থের শ্রেণী | বিপ্রলম্ভা শৃঙ্গার রসাত্মক গীতিকাব্য ও চিকিৎসা শাস্ত্র |
| রচয়িতা | কালিদাস ও চরক |
উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত প্রশ্ন ও উত্তর : সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস HS History of sanskrit literature, Sanskrit Question and Answer : নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত প্রশ্ন ও উত্তর WBCHSE Class 12 Sanskrit Question and Answer, Suggestion, Notes, MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer বহুবৈকল্পিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর HS পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
নোটস্ গুলির বৈশিষ্ট্যঃ
| ক্রমিক সংখ্যা | নোটস্ গুলির বৈশিষ্ট্য |
|---|---|
| ১। | সহজ সরল ভাষায় লেখা। |
| ২। | নোটসের মধ্যে অযথা পাণ্ডিত্য প্রকাশ করা হয়নি। |
| ৩। | ভাষা ও শব্দের পরিমিত প্রয়োগ করা হয়েছে। |
| ৪। | যেখানে প্রয়োজন কেবলমাত্র সেখানেই যথাযথ উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। |
| ৫। | উত্তর গুলির আকার অযথা বড় বা ছোট করা হয়নি। |
| ৬। | উত্তর গুলি পরীক্ষকদের রুচিসম্মত ভাবে ছোট ছোট পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে। |
| ৭। | পরীক্ষায় যথাযথ ভাবে উত্তর গুলি লিখলে ৯০% থেকে ১০০% নম্বর অবশ্যই পাবে। |
প্রশ্নঃ- ৩
সংস্কৃত গীতিকাব্যের নমুনা রূপে মেঘদূতম এর স্থান নিরূপণ কর ।
উত্তরঃ
গীতিকাব্য বা "Lyric poetry" এর 'Lyric' শব্দটি এসেছে ইংরেজি 'Lyre' শব্দ থেকে। 'Lyre' শব্দের অর্থ বীনা বা সেই জাতীয় বাদ্যযন্ত্র। এই তার জাতীয় বাদ্যযন্ত্রে সুর সহযোগে যে গান করা হতো, তাতে অনুভূতি প্রবণ ব্যক্তির হৃদয়ে আনন্দ-বেদনার প্রকাশ ঘটতো। কালক্রমে ব্যক্তি হৃদয়ের সেই আনন্দ বেদনার উচ্ছসিত প্রকাশ গান না হয়ে গীতিকাব্যের মর্যাদায় ভূষিত হয়। বিশ্বকবির ভাষায় -
"যে গান কানে যায়
না শোনা
সে গান যেথায় নিত্য বাজে।"
কবি হৃদয়ের স্বতঃস্ফূর্ত ঐকান্তিক হৃদয়াবেগ কল্পনার কমনীয়তায়, ছন্দের মূর্ছনায় অভিব্যক্ত হয়ে সংস্কৃত ভাষায় গীতিকাব্যের সার্থক রূপ লাভ করেছে মেঘদূত গীতিকাব্যে।
মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত কাব্যে স্বাধিকার প্রমত্ত এক
যক্ষ, প্রভু কুবেরের
অভিশাপে অলকাপুরী থেকে সুদূর রামগিরি পর্বতে নির্বাসিত হয়েছেন। আষাঢ়ের প্রথম
দিবসে বিরহ তাপিত যক্ষ এক খন্ড মেঘকে যেতে দেখে চেতন অচেতনের সীমারেখা ভুলে গিয়ে
প্রিয়ার কাছে কুশল বার্তা প্রেরণের জন্য মেঘকে আবেদন জানান। মেঘকে যক্ষ তার
প্রিয়ার কাছে অর্থাৎ রামগিরি থেকে অলকাপুরী পর্যন্ত যাবার পথের সুদীর্ঘ বর্ণনা
করেছেন । পূর্ব ও উত্তর মেঘে বিভক্ত মেঘদূত কাব্যে অলকা পুরীর বর্ণনা; যক্ষ প্রিয়ার রূপ
লাবণ্য এবং যক্ষের হৃদয়ের অন্তর বেদনার চিত্র কবি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ পর্যন্ত বিরহ দুঃখে মিলনের পূর্বাভাস সূচনা করে মেঘদুত কাব্যের পরিসমাপ্তি
ঘটেছে।
বিশুদ্ধ বিরহ কে কেন্দ্র করে রচিত মেঘদূত কাব্যে কবি
অপূর্ব সংবেদনশীলতা এবং অনন্য সাধারণ কবি প্রতিভার মনিকাঞ্চনের মিলন ঘটিয়ে সাবলীল
ও ললিত মধুর ভাষার প্রয়োগে কাব্যটিকে সুষমা মণ্ডিত করে তুলেছেন।
সর্বোপরি বলা যায় যে, যদি গীতি প্রবণতা ও আত্মগত
ভাবনার দ্বারা বহির্জগতকে আত্মসাৎ করা গীতিকাব্যের মূল লক্ষ্য হয়, তবে সে দিক থেকে
মেঘদূত প্রকৃত গীতি কাব্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। বেদনার ব্যাপ্তি, দুঃখের ঐকান্তিক
গভীরতা, প্রিয়া মিলনের
ব্যাকুলতা, তন্ময়ী ভাবের রোমান্টিক আবেগ - মেঘদূত গীতি কাব্যেকে
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গীতি কাব্যে পরিণত করেছে।
……….o……….
প্রশ্নঃ- ৪
চরক সংহিতা সম্পর্কে একটি তথ্যমূলক নিবন্ধ রচনা কর।
ভূমিকাঃ
ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যার একটি অনন্য সাধারণ চিকিৎসা
শাস্ত্র হল আয়ুর্বেদ শাস্ত্র। সর্বাপেক্ষা প্রাচীন, সমৃদ্ধ শাস্ত্র বিধি অনুসারে
লিখিত, ন্যায় অনুমোদিত, সংকলন গ্রন্থ হল
চরক সংহিতা। এই গ্রন্থটিতে বর্ণিত প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যার গভীর প্রভাব
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতেও পরিলক্ষিত হয়। চরক কর্তৃক সংকলিত এই গ্রন্থটি
খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে রচিত হয়েছে বলে মনে করা হয়।
লেখক পরিচিতিঃ
বর্তমানে প্রাপ্ত চরকসংহিতা টি কোন একজন ব্যক্তির
রচিত নয়। কারণ চরকসংহিতার শেষে বলা হয়েছে যে এই গ্রন্থটি মহর্ষি আত্রেয় এর
অন্যতম শিষ্য অগ্নিবেশ কর্তৃক রচিত, চরক কর্তৃক প্রতি সংস্কৃত এবং কপিল বলের পুত্র দৃঢ়বল
এর দ্বারা পরিপূরিত।
গ্রন্থ বিন্যাস ও বিষয়বস্তুঃ
চরক সংহিতায় মোট আটটির স্থানে ১২০ টি অধ্যায়ে ৯২৯৫
টি সূত্র আছে। এর স্থান গুলি হল -
সূত্র স্থানঃ
এতে আয়ুর্বেদের লক্ষণ ও প্রয়োজন এবং শারীরিক ও
মানসিক দোষ প্রভৃতি বর্ণিত হয়েছে।
নিদান স্থানঃ
এতে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ আলোচিত হয়েছে।
বিমান স্থানঃ
এতে বিভিন্ন রোগের মূল স্বরূপ অম্ল, কটু প্রভৃতি রসের
ভূমিকা আলোচিত হয়েছে।
শরীর স্থানঃ
এখানে মানব দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিবরণ ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে।
ইন্দ্রস্থানঃ
এখানে রোগ সৃষ্টিতে বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের ভূমিকা বর্ণিত হয়েছে।
চিকিৎসার স্থানঃ
এতে বিভিন্ন রোগের কারণ ও প্রতিকার বর্ণিত হয়েছে।
কল্পস্থানঃ
এতে দ্রব্য, গুণ বিচার ও বিভিন্ন গাছ থেকে ঔষধ তৈরির পদ্ধতি আলোচিত হয়েছে।
সিদ্ধিস্থানঃ
এতে চিকিৎসকের ঔষধের সেব্য ও অসেব্য বিচার প্রভৃতি
আলোচিত হয়েছে।
চরক সংহিতার বৈশিষ্ট্যঃ
প্রথমতঃ
চরক সংহিতার মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয় হলো কায় চিকিৎসা।
দ্বিতীয়তঃ
এর চতুষ্পাদ হলো ভিষক দ্রব্য পরিচালক এবং রোগী।
তৃতীয়তঃ
এই গ্রন্থে প্রমাণ বা পরীক্ষা পদ্ধতি রয়েছে চারটি। যথা - ১. আপ্তদেশ, ২. প্রত্যক্ষ, ৩. অনুমান এবং ৪. যুক্তি।
চতুর্থতঃ
চরক সংহিতায় জাতকর্ম, নামকরণ, উপনয়ন প্রভৃতি
সংস্কারের কথাও বলা হয়েছে।
উপসংহারঃ
সর্বোপরি বলা যায় যে, চরকসংহিতা বিপুল খ্যাতিসম্পন্ন
উৎকৃষ্ট চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ। এর প্রমাণ হিসেবে বলা যায় যে, এই গ্রন্থের
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানী টিপ্পনী ও ব্যাখ্যা রচনা করেছেন। এই
সকল চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন - গঙ্গাধর রায় রচিত "জল্পকল্পতরু", চক্রপানি দত্ত রচিত "আয়ুর্বেদ দীপিকা", স্বামী কুমার রচিত "চরক পঞ্জিকা" ইত্যাদি। কায়
চিকিৎসার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ "চরক সংহিতা" প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে তত্ত্ব, দর্শন, রোগ ও আরোগ্য -
বিষয়ক সম্পূর্ণ অনবদ্য রচনা। তাই মহাত্মা দৃঢ়বল এই গ্রন্থ সম্পর্কে বলেছেন –
"চিকিৎসা
বহ্নিবেশস্য
স্বস্থাতুরহিতং প্রতি।
যদিহাস্তি তদন্যত্র
যন্নেহাস্তি ন তৎ ক্বচ্চিৎ।।"
……….o……….

No comments:
Post a Comment