ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রে বরাহমিহিরের কৃতিত্ব আলোচনা কর।
এবং
প্রাচীন ভারতের শল্য চিকিৎসায় সুশ্রুত সংহিতার গুরুত্ব আলোচনা কর।
Discuss the achievements of Varahamihira in Indian astrology.
And
Discuss the importance of Sushruta Samhita in ancient Indian surgery.
Varahamihira : Astrology || Sushruta Samhita : Indian surgery || বরাহমিহির : জ্যোতিষ শাস্ত্র || সুশ্রুত সংহিতা : শল্য চিকিৎসা, Class 12 History of Sanskrit Literature. HS সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস। HS সংস্কৃত প্রশ্নোত্তর।
(toc) #title=( সূচিপত্র)
সংস্কৃত শিক্ষক কর্তৃক কুড়ি বছরের শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা প্রসূত এই নোটস গুলি সংস্কৃত বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ১০০% নম্বর পাওয়ার যোগ্য করে রচিত। Class 12 এর বহু ছাত্র-ছাত্রী এই নোটস্ লিখে পরীক্ষায় ৯০% থেকে ১০০% নম্বর পেয়েছে।
পাঠ্য সম্পর্কিত তথ্যঃ
| পাঠ্যের নাম | সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস |
| উৎস | প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র ও শল্য চিকিৎসা |
| মূল গ্রন্থ | বরাহমিহিরের রচনাবলী ও সুশ্রুতের রচনাবলী |
| গ্রন্থের শ্রেণী | জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ভক্তি শল্য চিকিৎসা |
| রচয়িতা | বরাহমিহির ও সুশ্রুত |
উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত প্রশ্ন ও উত্তর : সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস HS History of sanskrit literature, Sanskrit Question and Answer : নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত প্রশ্ন ও উত্তর WBCHSE Class 12 Sanskrit Question and Answer, Suggestion, Notes, MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer বহুবৈকল্পিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর HS পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
নোটস্ গুলির বৈশিষ্ট্যঃ
| ক্রমিক সংখ্যা | নোটস্ গুলির বৈশিষ্ট্য |
|---|---|
| ১। | সহজ সরল ভাষায় লেখা। |
| ২। | নোটসের মধ্যে অযথা পাণ্ডিত্য প্রকাশ করা হয়নি। |
| ৩। | ভাষা ও শব্দের পরিমিত প্রয়োগ করা হয়েছে। |
| ৪। | যেখানে প্রয়োজন কেবলমাত্র সেখানেই যথাযথ উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। |
| ৫। | উত্তর গুলির আকার অযথা বড় বা ছোট করা হয়নি। |
| ৬। | উত্তর গুলি পরীক্ষকদের রুচিসম্মত ভাবে ছোট ছোট পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে। |
| ৭। | পরীক্ষায় যথাযথ ভাবে উত্তর গুলি লিখলে ৯০% থেকে ১০০% নম্বর অবশ্যই পাবে। |
প্রশ্নঃ- ৫
Discuss the achievements of Brahmihir in Indian astrology.
ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রে বরাহমিহিরের কৃতিত্ব আলোচনা কর।
উত্তরঃ-
ভূমিকাঃ
ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাসে আর্যভট্টের পরেই
বরাহমিহিরের স্থান। ভারতীয় সংস্কৃতির সুবর্ণ যুগে মগধের কাম্পিল্য, বর্তমান জলন্ধর
জেলার কাল্পি নামক স্থানে ব্রাহ্মণ আদিত্য দাসের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তিনি
উজ্জয়িনীতে বসবাস করতেন। বিক্রমাদিত্যের রাজসভার নবরত্নের এক রত্ন বরাহমিহির ৪৮৭
খ্রিস্টাব্দ থেকে ৫৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পৃথিবীতে অবস্থান করে ভারতীয়
জ্যোতির্বিদ্যা তথা ভারতীয় জন মানষের অশেষ কল্যাণ সাধন করেছেন।
পরিচিতিঃ
জ্যোতির্বিজ্ঞানের অন্যতম প্রাণপুরুষ এই বরাহমিহির
জ্যোতিষ শাস্ত্রের তিনটি শাখাতেই পন্ডিত ছিলেন। তাঁর জন্যই জ্যোতির্বিদ্যার
পরবর্তী পন্ডিত, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের জ্যোতিষ চর্চার নতুন দিগন্ত
বিকশিত হয়েছে। তিনি যে সকল গ্রন্থ রচনা করে ভারতের জ্যোতিষ চর্চাকে সমৃদ্ধ করেছেন, তাদের মধ্যে ফলিত
জ্যোতিষে "বৃহৎবিবাহপটল" ও "পল্লববিবাহপটল" গ্রন্থ দুটিতে জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বিবাহের শুভ -
অশুভ কাল বর্ণিত হয়েছে। "বৃহজ্জাতক" ও "লঘুজাতক" গ্রন্থ দুটি হল বরাহমিহিরের রচিত অন্যতম প্রধান দুটি
গ্রন্থ।
পঞ্চসিদ্ধান্তিকাঃ
গণিত জ্যোতিষের ক্ষেত্রে বরাহমিহিরের পাঁচটি গ্রন্থ
উল্লেখযোগ্য। এই উচ্চমানের সিদ্ধান্ত গ্রন্থ গুলিকে একত্রে পঞ্চসিদ্ধান্তিকা বলা
হয়। সিদ্ধান্ত গ্রন্থ গুলি বরাহমিহিরের মৌলিক গ্রন্থ নয়। এগুলি উৎকৃষ্ট সংকলন
গ্রন্থ মাত্র। পঞ্চসিদ্ধান্তিকার গ্রন্থ গুলি হল -
পৈতামহসিদ্ধান্তঃ
গণিত জ্যোতিষের কালবিভাজন মূলক এই গ্রন্থে বারটি
অধ্যায় ও পাঁচটি সূত্র আছে। যে সূত্র ৫টিকে ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের নির্যাস
ধরা হয়। এখানে বছরকে ৩৬৫ দিনে এবং যুগকে ৬০টি সৌর মাসে ও ৬২টি চন্দ্র মাসে বিভক্ত
করা হয়েছে। এই গ্রন্থে দিন-রাত্রির হ্রাস বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে।
বাশিষ্ট সিদ্ধান্তঃ
১২টি শ্লোক ও ১২টি আর্য ব্যাখ্যা সম্বলিত এই গ্রন্থে
চন্দ্রের অবস্থান নির্ণয়, শঙ্কুর ছায়ার দৈর্ঘ্যের মাধ্যমে সূর্যের অবস্থান
নির্ণয়ের সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।
সৌর বা সূর্যসিদ্ধান্তঃ
সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য এই গ্রন্থে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের
সময় কাল নির্ণয়ের পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। এক নক্ষত্র বছরকে এখানে ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা
১২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড ধরা হয়। যা আধুনিক সৌর সিদ্ধান্ত থেকে মাত্র ৫৬ সেকেন্ড কম।
রোমক সিদ্ধান্তঃ
এটি মূল পাশ্চাত্য গণিত জ্যোতিষের সারসংকলন। এখানে
পাশ্চাত্য জ্যোতিষ বিজ্ঞানের সময় চক্রকে ভারতীয় পদ্ধতিতে বিন্যাস করা হয়েছে।
পৌলি সিদ্ধান্তঃ
এই গ্রন্থে রবি পথ ও চান্দ্র পথের বিভিন্নতা, অধিমাস ও তিথি
প্রলয়ের সংখ্যা নির্ণয়, অর্হগণ গণনার পদ্ধতি, সূর্যের বার্ষিক পথ ও চন্দ্রের
পথের মধ্যে কৌণিক ব্যবধান প্রভৃতি বর্ণিত হয়েছে।
সর্বোপরি বলা যায় যে ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানকে যারা
বিশ্বের দরবারে গৌরবের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন তাদের মধ্যে বরাহমিহির অন্যতম ও চির
স্মরণীয়।
……….o……….
প্রশ্নঃ ৬
Discuss the importance of Sushruta Samhita in ancient Indian surgery.
প্রাচীন ভারতের শল্য চিকিৎসায় সুশ্রুত সংহিতার গুরুত্ব আলোচনা কর।
ভূমিকাঃ
প্রাচীন ভারতের শাল্য চিকিৎসার প্রবর্তক আয়ুর্বেদাচার্য সুশ্রুত আয়ুর্বেদ শাস্ত্র সুশ্রুত সংহিতাতেই সর্ব প্রথম শব ব্যবচ্ছেদের পদ্ধতি প্রচলন করে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।
সুশ্রুতের পরিচয়ঃ
মহাভারতে আয়ুর্বেদাচার্য সুশ্রুত সম্পর্কে বলা
হয়েছে যে, তিনি মহর্ষি বিশ্বামিত্রের পুত্র এবং শল্য চিকিৎসায়
পারদর্শী ধন্বন্তরীর শিষ্য ছিলেন।
সুশ্রুত সংহিতার পরিচয়ঃ
আচার্য ধন্বন্তরি প্রণীত আয়ুর্বেদ গ্রন্থের সংকলন করেন সুশ্রুত এবং পরবর্তীকালে নাগার্জুনের হাতে তা সংস্কার প্রাপ্ত হয়ে সুশ্রুত সংহিতা ১৮৪ টি মতান্তরে ১৮৬ টি অধ্যায় সম্বলিত শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা শাস্ত্রে পরিণত হয়। এই গ্রন্থের ছয়টি বিভাগ রয়েছে যথা -
সূত্র স্থানঃ
এতে ৪৪ টি মতান্তরে ৪৬ টি অধ্যায় রয়েছে।
নিদান স্থানঃ
এতে ১৬ টি অধ্যায় রয়েছে।
শরীর স্থানঃ
এতে ১০ টি অধ্যায় রয়েছে।
চিকিৎসা স্থানঃ
এতে ৪০টি অধ্যায় রয়েছে।
কল্প স্থানঃ
এতে ৪টি অধ্যায় রয়েছে।
উত্তর তন্ত্রঃ
এতে ৬৬ টি অধ্যায় রয়েছে।
সুশ্রুত সংহিতার বৈশিষ্ট্যঃ
সুশ্রুত সংহিতার যে সকল নিজস্বতা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে
তাকে চির উচ্চস্থান দান করেছে সেগুলি হল -
প্রথমতঃ
এই গ্রন্থে চিকিৎসা শাস্ত্র সম্বন্ধীয় ১২১ প্রকার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নির্মাণের পদ্ধতি ও তাদের প্রয়োগ পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ
অর্শ পাথরই ভগন্দর রোগে অস্ত্র চিকিৎসার কথা সুশ্রুত
সংহিতায় প্রথম বর্ণিত হয়েছে।
তৃতীয়তঃ
প্রাচীন ভারতের চিকিৎসায় সর্বপ্রথম এই গ্রন্থে
ভ্রুণতত্ত্ব এবং অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।
চতুর্থতঃ
নানা প্রকার ও বয়সের সাপের বিষের ক্ষতিকারক দিক, ১৮ প্রকার ইঁদুরের বিষের লক্ষণ ও চিকিৎসা, পাঁচ প্রকার গোসাপ, ছয় রকম পিঁপড়ে ও মাছি, পাঁচ প্রকার মশা, ১৮ প্রকার জোঁকের ক্রিয়া-কলাপ প্রভৃতি সুশ্রুত সংহিতায় বর্ণিত হয়েছে।
পঞ্চমতঃ
বিষ খেলে পিপুল, যষ্টিমধু, চিনি, আখের রস প্রভৃতি খাইয়ে বমি করানোর ব্যবস্থা সুশ্রুত
সংহিতাতেই পাওয়া যায়।
ষষ্ঠতঃ
এই গ্রন্থে চার প্রকার উদ্ভিদ যেমন ১. বনস্পতি, ২. বৃক্ষ ৩. গুল্ম
ও ৪. ঔষধির ব্যবহার এবং গুণাগুণ বর্ণিত হয়েছে।
সর্বোপরি বলা যায় যে, ভাষার সহজ বোধ্যতা এবং বিষয়ের
উপস্থাপন পদ্ধতি গ্রন্থটিকে অনন্য করে তুলেছে। ব্যবচ্ছেদ কর্ম, শল্য চিকিৎসার
কর্তব্য, অস্মরী, অর্শ, অস্থি ভগ্ন, শরীরের মাংসের
স্থানান্তর এবং মস্তিষ্কের শল্য চিকিৎসা প্রভৃতি সুশ্রুত সংহিতাকে এবং
আয়ুর্বেদাচার্য সুশ্রুতকে চির স্মরণীয় এবং চির জনপ্রিয় করে রেখেছে।
……….o……….

No comments:
Post a Comment