Tuesday, November 14, 2023

Indigenous of Indian history : Folk tales || দেশীয় ইতিহাস চর্চা : লোককথা

sanskritshiksha.in

সংস্কৃত শিক্ষা

লোককথা কাকে বলে ? লোককথার উদাহরণ সহ গুরুত্ব আলোচনা কর।

এবং

ভারতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে দেশীয় ইতিহাস চর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।


উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস এর প্রথম অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর : অধ্যায়ের নাম - অতীত স্মরণ, উপ-অধ্যায় - ১। অতীত কল্পনা ঃ পৌরাণিক কাহিনি, কিংবদন্তি, লোককথা, স্মৃতিকথা এবং মৌখিক ঐতিহ্য। ২। অতীতের উত্তরাধিকার - এর প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস বিষয়ের বহুবৈকল্পিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।


indigenous of Indian history : Folk tales || দেশীয় ইতিহাস চর্চা : লোককথা

What is folk tales ? Discuss the importance with examples of folk tales.

And

Give a brief introduction to the practice of indigenous history in the context of Indian history writing.



(toc) #title=( সূচিপত্র)



ইতিহাস শিক্ষক কর্তৃক কুড়ি বছরের শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা প্রসূত এই নোটস গুলি ইতিহাস বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ১০০% নম্বর পাওয়ার যোগ্য করে রচিত। Class 12 এর বহু ছাত্র-ছাত্রী এই নোটস্ লিখে পরীক্ষায় ৯০% থেকে ১০০% নম্বর পেয়েছে।

 

পাঠ্য সম্পর্কিত তথ্যঃ

পাঠ্যের নাম উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস
অধ্যায় প্রথম
অধ্যায়ের নাম অতীত স্মরণ
উপ-অধ্যায় ১। অতীত কল্পনা ঃ পৌরাণিক কাহিনি, কিংবদন্তি, লোককথা, স্মৃতিকথা এবং মৌখিক ঐতিহ্য।
২। অতীতের উত্তরাধিকার।
অধ্যায় ভিত্তিক নম্বর বিভাজন পরীক্ষায় বহুবৈকল্পিক প্রশ্ন আসে ২টি, মান ১+১ = ২
এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন আসে ১টি, মান ৮×১ = ৮


Questions and Answers of First Chapter of Higher Secondary History: Name of the Chapter - Remembrance of the Past, Sub-chapter - 1. Past Imagination : Myths, legends, folklore, memoirs and oral traditions. 2. Past Inheritance - Questions and Answers are given below. This 12th class history multiple choice, short, super concise and essay question answers are very important for high school exams.

 


নোটস্‌ গুলির বৈশিষ্ট্যঃ

ক্রমিক সংখ্যা

নোটস্‌ গুলির বৈশিষ্ট্য

১। সহজ সরল ভাষায় লেখা।
২।

নোটসের মধ্যে অযথা পাণ্ডিত্য প্রকাশ করা হয়নি।

৩। ভাষা ও শব্দের পরিমিত প্রয়োগ করা হয়েছে।
৪। যেখানে প্রয়োজন কেবলমাত্র সেখানেই যথাযথ উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে।
৫। উত্তর গুলির আকার অযথা বড় বা ছোট করা হয়নি।
৬। উত্তর গুলি পরীক্ষকদের রুচিসম্মত ভাবে ছোট ছোট পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে।
৭। পরীক্ষায় যথাযথ ভাবে উত্তর গুলি লিখলে ৯০% থেকে ১০০% নম্বর অবশ্যই পাবে।


প্রশ্নঃ - ৩


লোককথা কাকে বলে ? লোককথার উদাহরণ সহ গুরুত্ব আলোচনা কর।

What is folk tales ? Discuss the importance with examples of folk tales.


 উত্তরঃ - 


লোককথাঃ


লোককথা লোক কথা হলো এক ধরনের কাল্পনিক গল্পকথা এবং এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী লৌকিক সাহিত্য, যার সাহায্যে প্রাকৃতিক বা আধ্যাত্মিক কোন ঘটনার ব্যাখ্যা বা উপলব্ধির চেষ্টা করা হয়। কার্ল টমলিনশন এবং ক্যারল লিনজ ব্রাউন এর মতে - 


"মানুষের জীবন এবং কল্পনার সংমিশ্রণে যেসব গল্পগাথা গড়ে উঠেছে তা-ই লোককথা।"

 

লোককথার উদাহরণঃ

 

১. সাত ভাই চম্পার কাহিনী,

২. আলিবাবা চল্লিশ চোরের কাহিনী,

৩. লক্ষিন্দরের জীবন প্রাপ্তির কাহিনী,

৪. টম থাম্বর এবং দৈত্যের কাহিনী,

প্রভৃতি জনপ্রিয় লোককথার উদাহরণ।

 

লোককথার গুরুত্বঃ

 

কাহিনীগুলি সম্পূর্ণভাবে ইতিহাস নির্ভর না হলেও ঐতিহাসিক ঘটনা জানার ক্ষেত্রে এগুলো বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যথা -

 

সমাজ সংস্কৃতির পরিচয়ঃ

কোন সমাজে সৃষ্ট লোককথা গুলি সেই সমাজের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে আমাদের সাহায্য করে।


ইতিহাসের ধারণাদানঃ

বিভিন্ন সমাজের ঐতিহাসিক কাহিনীর অনুকরণে বিভিন্ন লোক কথার প্রচলন করতে দেখা যায়। যার থেকে ইতিহাসের ধাঁচ সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায়। যেমন - চাঁদ সওদাগরের সপ্ত দিনের কাহিনী থেকে উপলব্ধি করা যায় যে, সেই যুগের বাংলার বণিকেরা দূর দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।


আনন্দ দান বা মনোরঞ্জনঃ

লোককথার গল্পগুলি অতীতকাল থেকে মানুষকে আনন্দ দিয়ে আসছে এবং একটা সময় এই লোককথাই ছিল মানুষের মনোরঞ্জনের অন্যতম প্রধান উপাদান।

 

শিক্ষাদানঃ

লোক কথার গল্প গুলি মানুষের জীবনে চলার পথে যথার্থ শিক্ষা দান করে। তাই বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছেন - "যদি তোমার সন্তানকে বুদ্ধিমান করতে চাও তবে তাদের লোককথার গল্প পড়তে দাও, যদি আরো বুদ্ধিমান করে তুলতে চাও তবে তাদের আরো বেশি লোক কথার গল্প পড়তে দাও।"

 

সর্বোপরি বলা যায় যে, বর্তমানকালে যে আঞ্চলিক ইতিহাস রচনার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তার জন্য অনেকাংশে ঐতিহাসিক গবেষকদের লোককথার উপর নির্ভর করতে হয়। তাই ইতিহাস রচনায় লোককথার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।

 

..........o..........


প্রশ্নঃ - ৪

 

ভারতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে দেশীয় ইতিহাস চর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

Give a brief introduction to the practice of indigenous history in the context of Indian history writing.

 

উত্তরঃ -

 

দেশীয় ইতিহাস চর্চাঃ


ব্রিটিশ ঐতিহাসিকদের চিন্তার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়ে ভারতীয়রাও ইতিহাস রচনায় হাত দেন। এর ফলে ভারতীয় ঐতিহাসিকগণও ভারতের ইতিহাস রচনায় ক্রমেই উন্নতির পথে অগ্রসর হচ্ছে। প্রথম দিকের ঐতিহাসিকগণ জাতীয় ইতিহাস রচনায় অগ্রসর হন এবং ক্রমান্বয়ে অনেক ঐতিহাসিক জাতীয়তাবাদের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদ বা মুসলিম চেতনাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাছাড়া প্রথম দিকে অধিকাংশ ভারতীয় ঐতিহাসিক প্রধানত আঞ্চলিক ইতিহাস ও দেশীয় রাজপুরুষদের জীবনী রচনা গুরুত্ব দেন। পরবর্তীকালে জাতীয় ইতিহাস রচনা গুরুত্ব পায়।

 

হিন্দু চেতনার ইতিহাসঃ


১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তীকালে ভারতীয়দের মধ্যে উপনিবেশবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী চেতনা শক্তিশালী হতে শুরু করে। জাতীয়তাবাদীরা দাবি তুলতে থাকেন যে ভারতীয়দের সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথায় হস্তক্ষেপ করার অধিকার তাদের নেই। হিন্দুদের এই চেতনাবাদের সঙ্গে যুক্ত হয় জাতীয়তাবোধ। বঙ্কিমচন্দ্র, রাজনারায়ণ বসু প্রমুখ পন্ডিত গন হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু শাস্ত্রের নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। আর্য সমাজের নেতা দয়ানন্দ সরস্বতী তার সত্যার্থ প্রকাশ গ্রন্থের শেষ দুটি অধ্যায়ে বাইবেল ও কোরআন এর তীব্র সমালোচনা করে বললেন যে - কোরআন হলো অজ্ঞতার দলিল ও মুসলিমরা হল ধর্মান্ধতার মূর্ত প্রতীক। এছাড়া বিনায়ক দামোদর সাভারকার সহ আরো অনেক ঐতিহাসিক রাজপুত ও মুসলিম দ্বন্দ্বের উল্লেখ করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইতিহাস লেখার কাজ শুরু করেন।


মুসলিম চেতনার ইতিহাসঃ


হিন্দু চেতনার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে কোন কোন মুসলিম জাতীয়তাবাদী এদেশের ইতিহাস রচনায় অগ্রসর হন। তাদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে চিরন্তন সংঘাতই ইতিহাসের নির্মম সত্য। মৌলানা শওকত আলী তার প্রবন্ধে লেখেন যে -


হিন্দু ও মুসলিমরা হাজার বছর একসঙ্গে থাকলেও দুটি সংস্কৃতি মিলিত হয়ে এক হওয়ার কোন সুযোগ নেই।


আঞ্চলিক ইতিহাসঃ


ভারতীয় ঐতিহাসিকদের উদ্যোগে রচিত বিভিন্ন আঞ্চলিক ইতিহাস গ্রন্থ গুলির মধ্যে এমন কিছু গ্রন্থ আছে যা দেশীয় ইতিহাস রচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মোঃ লতিফ এর - “History of The Punjab” গ্রন্থে ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাঞ্জাবের ইতিহাসের উল্লেখ মেলে। ঐতিহাসিক শ্যামল দাস হিন্দি ভাষায় ৫টি খন্ডে লেখেন বীর বিনোদনামে মেবারের ইতিহাস। এছাড়াও আরো বিভিন্ন আঞ্চলিক ইতিহাস গ্রন্থ রয়েছে। যেমন কুমুদ নাথ মল্লিক রচিত নদীয়া কাহিনী’ - 1910 খ্রিষ্টাব্দ, সুরেন্দ্রনাথ সেন রচিত অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সিস্টেম অফ দা মারাঠাস’ - ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ, নরহরি কবিরাজ রচিত ওয়াহাবি এন্ড ফরাজি রেবেলস্ অফ বেঙ্গল’ - ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দ প্রভৃতি।

 

জাতীয় ইতিহাসঃ


জাতীয় ইতিহাস গ্রন্থ গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দাদাভাই নৌরজি রচিত প্রভার্টি এন্ড ব্রিটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া’ - ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দ, রমেশ চন্দ্র দত্ত কর্তৃক 2 খণ্ডের রচিত ‘Economic History of India.’ - 19021904 খ্রিষ্টাব্দ, ডঃ রমেশ চন্দ্র মজুমদার কর্তৃক সম্পাদিত 11 খণ্ডে বিভক্ত হিস্ট্রি এন্ড কালচার অফ দি ইন্ডিয়ান পিপলস্’ - ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ প্রভৃতি।


অর্থনৈতিক ইতিহাসঃ


বিভিন্ন ভারতীয় ঐতিহাসিক এই দেশের কৃষি ও অর্থনৈতিক ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। ভারতীয় অর্থনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে এদেশের ঐতিহাসিকদের লেখা গ্রন্থ গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - অমলেশ ত্রিপাঠী রচিত ট্রেড এন্ড ফিনান্স ইন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি’ - ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দ, নরেন্দ্র কৃষ্ণ সিংহ রচিত তিন খন্ডের ইকোনমিক হিস্ট্রি অফ বেঙ্গল’ - ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে থেকে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ, রনজিত গুহ রচিত রুল অফ প্রপার্টি ফর বেঙ্গল’, সিরাজুল ইসলাম রচিত দ্য পার্মানেন্ট সেটেলমেন্ট ইন বেঙ্গল’ - ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ  প্রভৃতি।

 

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসঃ


ভারতীয় ঐতিহাসিকগণ এদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস বিষয়ক বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রানাডে রচিত রিলিজিয়াস এন্ড সোশ্যাল রিফর্মসএবং প্রদীপ সিংহ রচিত এসপেক্টস অফ সোশ্যাল হিস্ট্রিপ্রভৃতি।

 

নিম্নবর্গীয় ইতিহাস চর্চাঃ


ভারতের ইতিহাস চর্চায় ১৯৮০ দশক থেকে সমাজের যারা নিপীড়িত শোষিত তাদের নিয়ে ইতিহাস চর্চা শুরু হয়। ভারতের নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চার জনক হলেন রণজিৎ গুহ। তিনি নিম্নবর্গের ইতিহাস গ্রন্থ রচনার মধ্য দিয়ে এই ইতিহাস চর্চাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জ্ঞান পান্ডে, দীপেশ চক্রবর্তী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

 

উপসংহারঃ


সর্বোপরি বলে যায় যে, ভারতের ইতিহাস চর্চা ব্রিটিশদের হাত ধরে শুরু হলেও ধীরে ধীরে ভারতীয়দের উদ্যোগে এই ইতিহাস চর্চা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং বর্তমান কালে সুসংগটিত রূপ ধারণ করেছে।



..........o..........


Class 12 এর ইতিহাসের প্রথম অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন-উত্তর পেতে 
এখানে ক্লিক করুন।


No comments:

Post a Comment