sanskritshiksha.in
সংস্কৃত শিক্ষা
পেশাদারী বিষয় হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব আলোচনা কর।
আধুনিক ইতিহাসের লিখন পদ্ধতি আলোচনা কর।
Discuss the importance of history as a professional subject.
And
Discuss the writing style of modern history.
(toc) #title=( সূচিপত্র)
ইতিহাস শিক্ষক কর্তৃক কুড়ি বছরের শিক্ষকতা করার
অভিজ্ঞতা প্রসূত এই নোটস গুলি ইতিহাস বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ১০০% নম্বর পাওয়ার
যোগ্য করে রচিত। Class 12 এর বহু ছাত্র-ছাত্রী এই নোটস্ লিখে পরীক্ষায় ৯০%
থেকে ১০০% নম্বর পেয়েছে।
পাঠ্য সম্পর্কিত তথ্যঃ
| পাঠ্যের নাম | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস |
| অধ্যায় | প্রথম |
| অধ্যায়ের নাম | অতীত স্মরণ |
| উপ-অধ্যায় | ইতিহাসের গুরুত্ব এবং 'আধুনিক' ইতিহাস লিখন পদ্ধতি। |
| অধ্যায় ভিত্তিক নম্বর বিভাজন | পরীক্ষায় বহুবৈকল্পিক প্রশ্ন আসে ২টি, মান ১+১ = ২ এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন আসে ১টি, মান ৮×১ = ৮ |
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস এর প্রথম অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর : অধ্যায়ের নাম - অতীত স্মরণ, উপ-অধ্যায় - ইতিহাসের গুরুত্ব এবং 'আধুনিক' ইতিহাস লিখন পদ্ধতি এর প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস বিষয়ের বহুবৈকল্পিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
Higher Secondary History Chapter 1 Questions and Answers: Chapter Name - Remembering the Past, Sub-Chapter - Importance of History and 'Modern' History Writing Questions and Answers are given below. This 12th class history multiple choice, short, super concise and essay question answers are very important for higher Secondary exams.
নোটস্ গুলির বৈশিষ্ট্যঃ
| ক্রমিক সংখ্যা | নোটস্ গুলির বৈশিষ্ট্য |
|---|---|
| ১। | সহজ সরল ভাষায় লেখা। |
| ২। | নোটসের মধ্যে অযথা পাণ্ডিত্য প্রকাশ করা হয়নি। |
| ৩। | ভাষা ও শব্দের পরিমিত প্রয়োগ করা হয়েছে। |
| ৪। | যেখানে প্রয়োজন কেবলমাত্র সেখানেই যথাযথ উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। |
| ৫। | উত্তর গুলির আকার অযথা বড় বা ছোট করা হয়নি। |
| ৬। | উত্তর গুলি পরীক্ষকদের রুচিসম্মত ভাবে ছোট ছোট পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে। |
| ৭। | পরীক্ষায় যথাযথ ভাবে উত্তর গুলি লিখলে ৯০% থেকে ১০০% নম্বর অবশ্যই পাবে। |
প্রশ্নঃ- ৫
পেশাদারী বিষয় হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব আলোচনা কর।
উত্তরঃ
পেশাদারী বিষয় হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্বঃ
ইতিহাস হল মানব সভ্যতার অতীত কর্মকাণ্ডের কালামুক্রমিক এবং ধারাবাহিক লিখিত
বিবরণ। বর্তমান শতাব্দীতে ব্যবহারিক জ্ঞানের চরম অগ্রগতি ঘটলেও ইতিহাসের গুরুত্ব
মোটেই হ্রাস পায়নি। ইতিহাসের গুরুত্ব গুলি নিম্নলিখিতভাবে আলোচনা করা যেতে পারে।
অতীতের আয়নাঃ
ঐতিহাসিক আর. জি. কলিংউড তার “আইডিয়া অফ হিস্ট্রি” গ্রন্থে বলেছেন -
“ঐতিহাসিকদের মস্তিষ্ক থেকে অতীতের যে ছবি বেরিয়ে আসে তা হল
ইতিহাস।”
প্রকৃতপক্ষে অতীতের কাহিনীগুলিকে আমাদের সামনে স্বচ্ছ ভাবে তুলে ধরতে সাহায্য
করে ইতিহাস।
জ্ঞানের বিকাশঃ
সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে ইতিহাস হল সব থেকে বড় জ্ঞানের ভান্ডার।
মানব সভ্যতার উত্থান, বিবর্তন, পতন, সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, বিজ্ঞান
প্রভৃতি সবকিছুই ইতিহাসের আলোচনায় স্থান লাভ করে।
বর্তমান যুগের ভিত্তিঃ
ইতিহাস অতীতের অভিজ্ঞতার বর্ণনার মধ্য দিয়ে বর্তমান যুগের ভিত্তি রচনা করে।
তাই ঐতিহাসিক E.H Carr তার “What
is History” গ্রন্থে বলেছেন -
“……Unending dialogue between past and the present.”
(.....অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে এক অন্তহীন সংলাপ।)
সত্য নির্ধারণঃ
ঐতিহাসিকের কাজ হল কোন বিষয় সম্পর্কে সত্যতা মানুষের সামনে তুলে ধরা। একজন
ঐতিহাসিক বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে কাজটি করে থাকেন।
জাতীয়তাবোধের বিকাশঃ
ইতিহাস নিজ নিজ দেশের গৌরবের কাহিনী তুলে ধরে দেশবাসীর মনে জাতীয়তা বোধ ও
দেশপ্রেমের বিকাশ ঘটায়। যেমন - ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে ভারতবাসীর মনে
দেশপ্রেম জাগ্রত হয়।
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উন্নয়নঃ
ইতিহাস অতীতের বিভিন্ন দেশের শাসকের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যকলাপ সম্পর্কে
নানা তথ্য দিয়ে থাকে। বর্তমান যুগের মানুষ পূর্বের ঐ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে
বর্তমানের রাজনীতি ও প্রশাসনকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে।
ধর্মীয় শিক্ষা দানঃ
ইতিহাস মানুষকে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার শিক্ষাদান করে। যেমন - সম্রাট অশোক বা মুঘল
সম্রাট আকবরের উদার ধর্মনীতি থেকে মানুষের মনে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার চেতনা জেগে ওঠে।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক জ্ঞান লাভঃ
ইতিহাসে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বৈদেশিক সম্পর্ক আলোচিত হয়। কোন ধরনের পররাষ্ট্র
নীতি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে ইতিহাস সঠিক ধারণা দিতে
পারে।
উপসংহারঃ
সুতরাং বলা যায় যে, ইতিহাস
যুগ যুগ ধরে যে ধারণা আমাদের দিয়ে আসছে তা হল আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি। তাই উইনস্টন
চার্চিল বলেছেন -
“তুমি সুদূর অতীতে ফিরে তাকাতে পারলে সুদূর ভবিষ্যতে তাকাতে
পারবে।”
ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্ব হলো এই যে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিলে মানব সমাজ আরো সুন্দর ও নিরাপদ
হয়ে উঠতে পারত। তাই হেগে আক্ষেপ করে বলেছেন -
“The tragedy of history is
that no one take listen from history.”
প্রশ্নঃ- ৬
আধুনিক ইতিহাসের লিখন পদ্ধতি আলোচনা কর।
উত্তরঃ-
ভূমিকাঃ
প্রাচীনকালে ইতিহাস লিখনে কোন সুনির্দিষ্ট বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি ছিল না। দীর্ঘ
বিবর্তনের মধ্য দিয়ে হেরোডোটাস, থুকিডিডিস, রাঙ্কে,
E.H Carr প্রমুখের হাত ধরে বর্তমান
কালের ইতিহাস লিখন পদ্ধতি একটি সুনির্দিষ্ট রূপ লাভ করেছে। পণ্ডিতদের মতে আধুনিক
ইতিহাস লিখন পদ্ধতি নিম্নরূপ হওয়া উচিত।
তথ্য বা উপাদান সংগ্রহঃ
ইতিহাস তথ্য নির্ভর। তাই তথ্য যত বেশি হবে ইতিহাসের গুরুত্ব তত বৃদ্ধি পাবে।
তাই একজন ঐতিহাসিকের প্রথম কাজ হবে তিনি যে বিষয় ইতিহাস রচনা করবেন সেই বিষয় সম্পর্কে ইতিহাস পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করবেন।
ইতিহাসের উপাদান দুই রকমের হতে পারে যথা-
ক. প্রাথমিক উপাদান
খ. গৌণ উপাদান
তথ্যের বাছাইঃ
ঐতিহাসিকের হাতে যেসব তথ্য এসে পৌঁছায়, তিনি সেই তথ্যগুলোর মধ্য থেকে একমাত্র তার প্রয়োজনীয় তথ্য
গুলি বেছে নেবেন এবং অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলি বর্জন করবেন। এটিই ইতিহাস লিখন পদ্ধতি
দ্বিতীয় ধাপ।
তথ্যের সত্যতা যাচাইঃ
ঐতিহাসিকের কাছে এসে পৌঁছানো নির্বাচিত তথ্য বা উপাদান গুলিতে কোন ভুল
ভ্রান্তি,
মিথ্যা বা জালিয়াতি আছে কিনা সেটি যাচাই করা একজন
ঐতিহাসিকের আবশ্যিক কর্তব্য। এই যাচাই এর পরে তিনি ঠিক করবেন যে প্রকৃত সত্য কোনটি
এবং সেটি গ্রহণ করবেন।
ধারাবাহিকতা ও কালানুক্রম অনুসরণঃ
ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ধারাবাহিক এবং কালানুক্রমিক লিখিত বিবরণ। তাই
ঐতিহাসিককে অবশ্যই এই শর্তটি অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে কোন ঘটনার উৎস, পরে ঘটনাগুলির বিবরণ এবং শেষে পরিণতি আলোচনা করতে হবে।
কার্য-কারণ পদ্ধতিঃ
ইতিহাস বলে যে, প্রত্যেকটি
কার্যের পেছনে কোনো না কোনো কারণ আছে। তাই আধুনিক ইতিহাস রচনার অন্যতম শর্ত হলো, ঐতিহাসিককে সেই কার্যকারণ সম্পর্কটি খুঁজে বের করতে হবে।
প্রশ্ন-উত্তর পদ্ধতিঃ
ঐতিহাসিকের হাতে যেসব তথ্য এসে পৌঁছায়, তার উপর তিনি বিভিন্ন দিক থেকে প্রশ্ন করবেন আর এই প্রশ্ন
থেকে যে উত্তর বেরিয়ে আসবে তাই হবে ইতিহাস রচনার মূল সম্পদ।
নিরপেক্ষতা অবলম্বনঃ
বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে একজন ঐতিহাসিককে অবশ্যই পরিবার, সমাজ, রাজনৈতিক এবং অন্যান্য প্রভাব মুক্ত হয়ে নিরপেক্ষভাবে সঠিক তথ্যটি তুলে ধরতে
হবে। তবে-ই প্রকৃত ইতিহাস রচিত হবে।
ভৌগলিক অবস্থানের উল্লেখঃ
ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনায় কোনো না কোনো ছোট-বড় স্থানে সংগঠিত হয়ে থাকে। তাই
ঐতিহাসিককে কোন বিষয়ে ইতিহাস রচনার সময় সেই নির্দিষ্ট স্থানের ভৌগোলিক পরিচয়
দেওয়া আবশ্যক।
তথ্য একত্রিকরণ এবং ইতিহাস লিপিবদ্ধ করণঃ
সবশেষে ঐতিহাসিক প্রকৃত তথ্য গুলি একে একে সংগঠিতভাবে লিপিবদ্ধ করবেন। ফলে
রচিত হবে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাস।
উপসংহারঃ
সুতরাং বলা যায় যে, ঐতিহাসিকের
কাজ শুরু হবে তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে। প্রাপ্ত তথ্য গুলির সত্যতা যাচাই করে
বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে তিনি ইতিহাস রচনায় প্রয়াসী হবেন।

No comments:
Post a Comment