Saturday, March 30, 2024

Barshabarnanam || H.S Sanskrit 1st Sem

(toc) #title=( সূচিপত্র)

 

বর্ষাবর্ণনম্ এর মূল পাঠ, শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থ এবং বঙ্গানুবাদ

 H.S Sanskrit 1st Sem Barshabarnanam

H.S সংস্কৃত প্রথম সেমিস্টারের পদ্য বর্ষাবর্ণনম্‌



পাঠ্যের নাম 
বর্ষাবর্ণনম্ এর মূল পাঠ, শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থ এবং বঙ্গানুবাদ
উৎস
রামায়ণের কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডের অষ্টাবিংশ সর্গ
শ্রেণী
একাদশ শ্রেণী (Class XI)
সেমিস্টার
প্রথম সেমিস্টার
বোর্ড
WBCHSE


উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস


কর্মযোগ এর প্রশ্ন উত্তর


ENGLISH | SECOND LANGUAGE । Competitive Exam | Primary TET | CTET


Barshabarnanam || H.S Sanskrit 1st Sem নামক পাঠ্যেটি পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) Class 11 এর সংস্কৃত বিষয়ের নতুন সিলেবাস অনুযায়ী প্রথম সেমিস্টারের বর্ষাবর্ণনম্ (রামায়ণের কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডের অষ্টাবিংশ সর্গ) গল্পটি অবলম্বনে করা হয়েছে। বর্ষাবর্ণনম্ এর মূল পাঠ, শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থ এবং বঙ্গানুবাদ নামক পাঠ্যে সংস্কৃত বর্ষাবর্ণনম্ এর মূল পাঠ, প্রতিটি মূল সংস্কৃত শব্দের বাংলা অর্থ এবং বঙ্গানুবাদ অতি সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।  H.S Sanskrit 1st Sem এর বর্ষাবর্ণনম্ এর মূল পাঠ, শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থ এবং বঙ্গানুবাদ নামক পাঠ্যে সংস্কৃত বর্ষাবর্ণনম্ এর মূল পাঠের প্রতিটি মূল সংস্কৃত শব্দের আক্ষরিক বাংলা অর্থ করা হয়েছে  এবং বর্ষাবর্ণনম্ এর মূল ভাবধারাকে বজায় রেখে বঙ্গানুবাদ করা হয়েছে।

Barshabarnanam || H.S Sanskrit 1st Sem


বর্ষাবর্ণনম্ এর মূল পাঠ, শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থ এবং বঙ্গানুবাদ

বর্ষাবর্ণনম্

'বর্ষাবর্ণনম্' কাব্যাংশটি রামায়ণের কিষ্কিন্ধ্যাকান্ডের আঠাশতম সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে। 'আদিকবি' বাল্মীকি রচিত 'আদিকাব্য' রামায়ণ। 'রামায়ণ' নামটি বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় রাম-অয়ন অর্থাৎ রাম-চরিত বা রামসম্পর্কিত কাহিনি। রামায়ণ অনুসারে তমসা নদীর তীরে ব্যাধের দ্বারা বাণবিদ্ধ ক্রৌঞ্চের মৃত্যুতে ক্রৌঞ্চীর বিরহব্যথায় কাতর মুনি বাল্মীকির কণ্ঠ থেকে যে ছন্দোবদ্ধ বাণী নির্গত হয়েছিল তা-ই  আদি শ্লোক বা প্রথম কবিতা।

 

"মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং তুমগমঃ শাশ্বতীঃ সমাঃ।

যৎ ক্রৌঞ্চমিথুনাদেকমবধীঃ কামমোহিতম্।।" (১।২।১৪)

 

খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের আগেই রামায়ণের মূল গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল মনে করা হয়। পরবর্তী দীর্ঘ সময় ধরে তাতে বহু প্রক্ষিপ্ত অংশের সংযোজন ঘটে।

 

রামায়ণের ২৪,০০০ শ্লোকের মধ্যে অধিকাংশ শ্লোকই অনুষ্টুপ ছন্দে রচিত। গ্রন্থটিতে ৭টি কাণ্ডে মোট ৫০০টি অধ্যায় আছে। যথা – আদিকাণ্ড বা বালকাণ্ড, অযোধ্যাকাণ্ড, অরণ্যকাণ্ড, কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড, সুন্দরকাণ্ড, লঙ্কাকাণ্ড বা যুদ্ধকাণ্ড ও উত্তরকান্ড। সর্বগুণান্বিত নায়ক, বিশাল ও মহৎ উপাখ্যানচতুবর্গ সাধনের সংহতি, সনাতন ধর্ম ও সদাচারের আদর্শ প্রভৃতি উপাদানের সমন্বয়ে রামায়ণ এক মহৎ সাহিত্যসম্ভার।


বাল্মীকির সহজ চরিত্রচিত্রণ, মনোরম নিসর্গচিত্রপ্রাঞ্জল ভাষাঅকৃত্রিম ভাব, শৃঙ্গার, বীর, করুণ ও শান্তরসের সমন্বয়ে রামায়ণ এক অনবদ্য সৃষ্টি। তাই বলা যায় যে প্রজাপতি ব্রহ্মার করা রামায়ণের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়েছে -

 

"যাবৎ স্থাস্যন্ডি গিরয়ঃ সরিতশ্চ মহীতলে।

তাবদ্‌ রামায়ণী কথা লোকেষ প্রচরিষ্যতি।।" (১।২।৩৫)

 

অযোধ্যার রাজা দশরথের চার পুত্র রাম, লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন। এবং তিন পত্নী কৌশল্যা, কৈকেয়ী এবং সুমিত্রা। রাম, রাজা জনকের রাজধানী মিথিলায় গিয়ে সীতাকে বিবাহ করেছেন। এর বারো বছর পর রাম অযোধ্যার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হতে চলেছেন, এমন সময় রাজা দশরথের দ্বিতীয়া স্ত্রী কৈকেয়ী নিজপুত্র ভরতকে অযোধ্যার রাজা করার অভিপ্রায়ে দশরথের কাছে সপত্নী-পুত্র রামের চোদ্দ বছর বনবাস চাইলেন। রাম পিতৃসত্য রক্ষার্থে লক্ষ্মণ ও সীতাকে নিয়ে রাজসুখ পরিত্যাগ করে দণ্ডকারণ্যে বাস করতে লাগলেন। এর পর লঙ্কার রাজা রাবণ ছদ্মবেশে সীতাকে হরণ করলেন। সীতার খোঁজ করতে করতে রামচন্দ্র দণ্ডকারণ্য থেকে নানা জায়গা ঘুরে এলেন ঋষ্যমুক পর্বতে। সেখানে বানররাজ বালীকে বধ করে তার ভাই সুগ্রীবকে কিষ্কিন্ধ্যার সিংহাসনে বসালেন। প্রতিদানে সুগ্রীব রামকে সীতা অন্বেষণে সাহায্য করেন।  সীতাকে খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা যখন মাল্যবান পর্বতে এসে পৌঁছোলেন তখনই এল বর্ষা। রামচন্দ্র লক্ষ্মণের কাছে বর্ষার শোভা বর্ণনা করতে লাগলেন - 


উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত সাজেশন


বর্ষাবর্ণনম্ এর মূল পাঠ, শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থ এবং বঙ্গানুবাদ

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১

अयं कालः सम्प्राप्तः समयोऽद्य जलागमः

संपश्य त्वं नभो मेधैः संवृतं गिरिसन्निभैः

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

অয়ং - এই; স কালঃ - সেই বর্ষাকাল; সংপ্রাপ্তঃ - সমুপস্থিত; অদ্য - আজ; জলাগমঃ - জল আসার; সময়ঃ - কাল; ত্বম্ - তুমি; গিরিসন্নিভৈঃ - পর্বতের মত; মেঘেঃ - মেঘের দ্বারা; সংবৃতম্ - আচ্ছন্ন; নভঃ - আকাশ; সংপশ্য - ভালভাবে দেখ

 

বঙ্গানুবাদঃ

এই সেই কাল বর্ষাকাল উপস্থিত। আজ বৃষ্টি আসার সময়। তুমি পর্বতের মত মেঘসমূহের দ্বারা সমাচ্ছন্ন আকাশ দেখ।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ২

मेघोदरविनिर्मुक्ताः कर्पूरदलशीतलाः

शक्यमञ्जलिभिः पातुं वाताः केतकगन्धिनः

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

মেঘোদরবিনির্মুক্তাঃ - মেঘের উদর থেকে বিমুক্ত; কপূরদলশীতলাঃ - কপূরদলের মত শীতল; কেতকগন্ধিনঃ - কেতক পুষ্পের গন্ধযুক্ত; বাতাঃ - বাতাস; অঞ্জলিভিঃ - দু'হাতের অঞ্জলি দ্বারা; পাতুম্ - পান করতে; শক্যম্ - যোগ্য হয়

 

বঙ্গানুবাদঃ

মেঘের উদর থেকে বিমুক্ত কপূরদলের মত শীতল কেতক পুষ্পের গন্ধযুক্ত বাতাস দুহাতের অঞ্জলি দ্বারা পান করার যোগ্য হয়।

 

H.S Sanskrit 1st Semester New Syllabus


মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ৩

रजः प्रशान्तं सहिमोऽद्य वायुनिंदाघदोषप्रसराः प्रशान्ताः

स्थिता हि यात्रा वसुधाधिपानां प्रवासिनो यान्ति नराः स्वदेशान् ।। ।।

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

রজঃ - ধূলা; প্রশান্তম্ - প্রকৃষ্টরূপে শান্ত; অদ্য - আজ; বায়ুঃ - বায়ু; সহিমঃ - হিমযুক্ত; নিদাঘ-দোষ-প্রসরাঃ - গ্রীষ্মের দোষসমূহের বেগ বা বিস্তার; প্রশান্তাঃ - শান্ত হয়েছে; বসুধাধিপানাং - রাজাদিগের; যাত্রা - যুদ্ধার্থ নির্গমন; হি - নিশ্চিতভাবে; স্থিতা - স্থগিত রাখা হয়েছে; প্রবাসিনঃ - বিদেশস্থ; নরাঃ - মানুষেরা; স্বদেশান - নিজ দেশে; যান্তি - যাচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

এই সময়ে ধূলি প্রশমিত হয়, আজ বাতাস হিমযুক্ত শীতল, গ্রীষ্মকালের দোষসমূহ প্রশমিত, রাজাদের যুদ্ধযাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে এবং প্রবাসী মানুষ স্বদেশে ফিরে আসছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ৪

क्वचित् प्रकाशं क्वचिदप्रकाशं नभः प्रकीर्णाम्बुधरं विभाति

क्वचित् क्वचित् पर्वतसंनिरुद्धं रूपं यथा शान्तमहार्णवस्य ।। ।।

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

অন্বয়সহ শব্দার্থ যথা শান্তমহার্ণবস্য - শান্ত সমুদ্রের মত; রূপম্ - রূপ; কচিৎ কচিৎ - কোথাও কোথাও; পর্বত-সংনিরুদ্ধম্ - পর্বতের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত; তথা – সেরূপ; প্রকীর্ণাণুধরম্ - বিক্ষিপ্ত মেঘযুক্ত; নভঃ - আকাশ; কচিৎ - কোথাও; প্রকাশম্ - দৃশ্য; কচিৎ - কোথাও; অপ্রকাশম্ - অদৃশ্য; বিভাতি - শোভা পাচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

নিস্তরঙ্গ সমুদ্রের রূপ যেমন কোথাও কোথাও পর্বতের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত, বিক্ষিপ্ত মেঘমুক্ত আকাশ সেরূপ কোথাও দৃশ্য, কোথাও অদৃশ্যরূপে শোভা পাচ্ছে।

 

H.S Sanskrit 2nd Sem New Syllabus

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ৫

व्यामिश्रितं सर्जकदम्बपुष्पै-नवं जलं पर्वतधातुताम्रम्

मयूरकेकाभिरनुप्रयातं शैलापगाः शीघ्रतरं वहन्ति

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

শৈলাপগাঃ - পার্বত্য-নদীসমূহ; সর্জ-কদম্ব-পুষ্পঃ - শাল ও কদম্বপুষ্পের সাথে; ব্যামিশ্রিতম - বিশেষভাবে মিশ্রিত; পর্বত-ধাতু-তাভ্রম্ - পর্বতের ধাতুসমূহের দ্বারা তাওবর্ণ; ময়ূরকেকাভিঃ - ময়ূরদের কেকাধ্বনির দ্বারা; অনুপ্রয়াতম্ - প্রতিধ্বনি-যুক্ত; নবম্ - নূতন; জলম্ - জল; শীঘ্রতরা - আরও তাড়াতাড়ি; বহন্তি - বহন করছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

পার্বত্য-নদীসমূহ শাল এবং কদম্ব-পুষ্পের সাথে বিশেষভাবে মিশ্রিত, পর্বতের ধাতু-সমূহের দ্বারা তাম্রবর্ণ এবং ময়ূরদের কেকাধ্বনির দ্বারা প্রতিধ্বনি-যুক্ত নূতন জল আরও তাড়াতাড়ি বহন করছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ৬

रसाकुलं षट्पदसन्निकाशं प्रभुज्यते जम्बुफलं प्रकामम्

अनेकवर्णं पवनावधूतं भूमौ पतत्याम्रफलं विपक्वम् ।। ।।

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

ষত্পদ-সন্নিকাশম্ - ভ্রমরসদৃশ; রসাকুলম্ - সরস; জম্বুফলম্ - জাম; প্রকামং - যথেচ্ছভাবে; প্রভুজ্যতে - ভুক্ত হয় - চ- এবং; পবনাবধৃতম্ - বায়ু-প্রকম্পিত; অনেকবর্ণম্ - অনেকরঙের; বিপক্কম্ - পাকা; আম্রফলম্ - আম; ভূমৌ - মাটীতে; পততি - পড়ে

 

বঙ্গানুবাদঃ

এই সময়ে ভ্রমরের মত কালো প্রচুর জাম ফল খাওয়া হয় এবং বায়ুর দ্বারা তাড়িত হয়ে নানা রঙের পাকা আম মাটিতে পড়ে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ৭

विद्युत्पताकाः सवलाकमालाः शैलेन्द्रकूटाकृतिसन्निकाशाः

गर्जन्ति मेघाः समुदीर्णनादा मत्ता गजेन्द्रा इव संयुगस्थाः

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

মত্তাঃ - মত্ত; গজেন্দ্রাঃ ইব - শ্রেষ্ঠ গজসমূহের ন্যায়; গর্জন্তি - গর্জন করছে বিদ্যুৎ-পতাকাঃ - বিদ্যুযার নিশানের মত; স-বলাক-মালাঃ - মালারূপ সারস সমূহ যুক্ত; শৈলেন্দ্র-কূটাকৃতি-সন্নিকাশাঃ - হিমালয়-পর্বত-শিখরের আকৃতির তুল্য আকৃতি যাদের; সমুদীর্ণনাদাঃ - অতিগম্ভীর-শব্দকারী; মেঘাঃ - মেঘসমূহ; সংযুগস্থাঃ - যুদ্ধক্ষেত্রস্থ

 

বঙ্গানুবাদঃ

বিদ্যুৎ এর নিশান দ্বারা শোভিত, সারসমালায় ভূষিত এবং হিমালয় শিখর-সদৃশ অতি গম্ভীর শব্দকারী মেঘসমূহ যুদ্ধক্ষেত্রের মত্ত গজেন্দ্রের মত গর্জন করছে।

 

H.S Sanskrit 3rd Sem || New Syllabus 2024

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ৮

वर्षोदकाप्यायितशाद्वलानि प्रवृत्तनृत्योत्सवबर्हिणानि

वनानि निर्वृष्टबलाहकानि पश्यापराह्नेष्वधिकं विभान्ति

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

পশ্য - দেখ; নিবৃষ্টবলাহকানি - নিঃশেষিতবর্ষণ মেঘসমূহ যেখানে; বর্ষোদকাপ্যায়িত শাদ্বলানি – বর্ষার জলের দ্বারা পুষ্ট নব তৃণ দ্বারা হরিদ্বর্ণ; প্রবৃত্ত- নৃত্তোৎসব-বর্হিণানি - ময়ূরেরা নৃত্তোসব আরম্ভ করেছে যেখানে; বনানি - বনসমূহ; অপরাহ্বেযু - বিকাল-বেলা; অধিকং - বেশী; বিভান্তি - োভা পাচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

ঐ দেখ, বর্ষণশীল-মেঘযুক্ত বর্ষাজল-পুষ্ট-নবতৃণদ্বারা হরিদ্বর্ণ এবং আরন্ধ-নৃত্তোৎসব- ময়ূরযুক্ত বনসমূহ অপরাহ্ণে বেশী শোভা পাচ্ছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ৯

समुद्वहन्तः सलिलातिभारं वलाकिनो वारिधरा नदन्तः

महत्सु शृङ्गेषु महीधराणां विश्रम्य विश्रम्य पुनः प्रयान्ति

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

বলাকিনঃ - বকের শ্রেণীযুক্ত; নদন্তঃ - গর্জন করছে এমন, গর্জনকারী; বারিধরাঃ - মেঘসমূহ; সলিলাতিভারম্ - জলের অতিরিক্ত ভার; সমুদ্বহন্তঃ - সম্যক্-রূপে ঊর্ধ্বে বহন করতে করতে; মহীধরাণাম্ - পর্বতগুলির; মহৎসু শৃঙ্গেযু - বৃহশিখরসমূহে; বিশ্রম্য বিশ্রম্য - বার বার বিশ্রাম করে; পুনঃ - আবার; প্রয়ান্তি - যাচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

বলাকা-শ্রেণীযুক্ত গর্জনকারী মেঘসমূহ উর্ধ্বে জলভার বহন করতে করতে পর্বতাদির উচ্চশিখরসমূহে পুনঃ পুনঃ বিশ্রাম করে গমন করছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১০

वहन्ति वर्षन्ति नदन्ति भान्ति ध्यायन्ति नृत्यन्ति समाश्वसन्ति

घना मत्तगजा वनान्ताः नद्यो বহন্তি प्रियाविहीनाः शिखिनः प्लवङ्गाः१०

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

নদ্যঃ - নদীসমূহ; বহস্তি - বইছে; ঘনাঃ - মেঘসমূহ; বর্ষস্তি - বারিবর্ষণ করছে; মত্তগজাঃ - মত্তহস্তীরা; নদন্তি - গর্জন করছে; বনান্তাঃ - বনের প্রান্তভাগ; ভান্তি - শোভা পাচ্ছে; প্রিয়াবিহীনাঃ - স্ব স্ব প্রিয়পত্নীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে; ধ্যায়স্তি - চিন্তামগ্ন হচ্ছে; শিখিনঃ - ময়ূরগণ; নৃত্যন্তি - নৃত্য করছে; প্লবঙ্গাঃ - বানরেরা, ভেকেরা; সমাশ্বসন্তি - আশ্বস্ত হচ্ছে [সুগ্রীবের রাজ্য প্রাপ্তিতে বানরেরা আশ্বস্ত বোধ করছে]

 

বঙ্গানুবাদঃ

নদীসমূহ প্রবাহিত হচ্ছে, মেঘ বারি বর্ষণ করছে, মত্তমাতঙ্গগণ গর্জন করছে, বনের প্রান্তভাগ সুশোভিত হচ্ছে, প্রিয়াবিহীন পুরুষগণ চিন্তামগ্ন হয়েছে, ময়ূরগণ আনন্দে নৃত্য করছে এবং [সুগ্রীবের রাজ্যলাভ হওয়ায়] বানরেরা আশ্বাসিত হচ্ছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১১

प्रहर्षिताः केतकिपुष्पगन्धमाघ्राय मत्ता वननिर्झरषु

प्रपातशब्दाकुलिता गजेन्द्राः सार्धं मयूरैः समदा नदन्ति११

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

বননির্ধারেষু - অরণ্যের ঝর্ণার ধারে; কেতকিপুষ্পগন্ধম্ - কেয়া ফুলের গন্ধ; আড্ডায় - আঘ্রাণ করে; মত্তাঃ - মাতাল; গজেন্দ্রাঃ - বড় বড় হস্তী বা হস্তিসমূহ; প্রপাতশব্দাকুলিতাঃ - নির্ঝরের শব্দে আকুল হয়ে; ময়ুরৈঃ সার্ধম্ - ময়ূরদের সাথে; নদন্তি - ডাকছে; গর্জন করছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

বনে অবস্থিত ঝর্ণার পাশে ক্রীড়ারত কেতকী কুসুমের গন্ধে হৃষ্ট মদমত্ত মাতঙ্গগণ নির্ঝরের শব্দে আকুল হয়ে ময়ূরগণ কেকারবে সঙ্গে নিনাদ করছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১২

तड़ित्पताकाभिरलंकृतानामुदीर्णगम्भीरमहारवाणाम्

विभान्ति रूपाणि बलाहकानां रणोत्सुकानामिव वारणानाम्१२

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

তড়িৎ-পতাকাভিঃ - বিদ্যুৎ-রূপ পতাকা সমুহের দ্বারা; অলংকৃতানাম্ - অলংকৃত; শোভিত; উদীর্ণ-গম্ভীর-মহারবাণাম্ - সঞ্জাত-গম্ভীর-গর্জন; বলাহকানাম্ - মেঘসমূহের; রূপাণি - রূপ; রণোৎসুকানাম্ - যুদ্ধে প্রবৃত্ত; বারণানাম্ - হাতীগুলির; ইব - মত; বিভান্তি - শোভা পাচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

বিদ্যুৎ-রূপ পতাকাসমূহের দ্বারা অলংকৃত, সঞ্জাতগম্ভীর-গর্জন মেঘসমূহের আকৃতি যুদ্ধে প্রবৃত্ত হাতীগুলির মত শোভা পাচ্ছে।

 

H.S Sanskrit 4th Sem || New Syllabus 2024

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১৩

मार्गानुगः शैलवनानुसारी संप्रस्थितो मेघरवं निशम्य

युद्धाभिकामः प्रतिनागशङ्की मत्तो गजेन्द्रः प्रतिसंनिवृत्तः१३

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

শৈলবনানুসারী - পর্বতবনে বিচরণশীল; যুদ্ধাভিকামঃ - [গজের সাথে। বিগ্রহেচ্ছঃ; মার্গানুগঃ সংপ্রস্থিতঃ - গজের অন্বেষণে পথে পথে সর্বদাগমনশীল; মত্তঃ - মত্ত; গজেন্দ্রঃ - শ্রেষ্ঠ হস্তী; মেঘরবং - মেঘশব্দ; নিশম্য - শ্রবণ করে; প্রতিনাগশঙ্কী - প্রতিকূল [বা শত্রু] হস্তী আশঙ্কা করে; প্রতিসংনিবৃত্তক্ত - প্রত্যাবর্তন করল।

 

বঙ্গানুবাদঃ

পর্বতবনে বিচরণশীল অন্য গজের সাথে বিগ্রহেচ্ছু গজের অন্বেষণে পথে পথে সর্বদা গমনশীল মত্ত গজেন্দ্র পিছন থেকে মেঘশব্দ শ্রবণ করে প্রতিদ্বন্দী হস্তী আশঙ্কা করে প্রত্যাবর্তন করল।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১৪

क्वचित् प्रगीता इव षट्पदौधैः क्वचित् प्रनृत्ता इव नीलकण्ठैः

क्वचित् प्रमत्ता इव वारणेन्द्रर्विभान्त्यनेका श्रयिणो वनान्ताः१४


শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

বনাস্তাঃ - বনের প্রান্তভাগ; কচিৎ - কোন কোন স্থানে; ষট্ দৌঘেঃ - ভ্রমরগণকর্তৃক; প্রণীতাঃ - সঙ্গীতমুখর; ইব - যেন; কচিৎ - কোন কোন স্কুলে; নীলকণ্ঠেঃ - ময়ূরগণকর্তৃক; প্রনৃত্তাঃ - নৃত্যযুক্ত; নর্তনরত; ইব - যেন; কচিৎ - কোন কোন স্থানে; বারণেন্দ্রৈঃ - বড় বড় হস্তিগণ কর্তৃক; প্রমত্তাঃ - মদমত্ত অর্থাৎ মাতাল; ইব - যেন; অনেকাশ্রয়িণঃ - বহুভাবের আশ্রয়ী অর্থাৎ মিশ্রণযুক্ত; বিভান্তি - শোভা পাচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

অরণ্যের বিভিন্ন প্রান্ত বহুবিধরূপযুক্ত দেখাচ্ছে-কোন স্থানে ভ্রমরগণের দ্বারা যেন সঙ্গীতমুখর হচ্ছে, কোথাও ময়ূরগণের দ্বারা যেন নৃত্যরত দেখাচ্ছে, আবার কোন কোন স্থলে বিশালাকার হস্তিগণের দ্বারা যেন মদমত্ত হচ্ছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১৫

षद्द्यादतन्त्री-मधुराभिधानं प्लवङ्गमोदीरित कण्ठतालम्

आविष्कृतं मेघमृदङ्गनादैर्वनेषु सङ्गीतमिव प्रवृत्तम्१५

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

আবিষ্কৃতম্ মেঘ-মৃদঙ্গ-নাদৈঃ বনেষু সঙ্গীতম্ ইব প্রবৃত্তম্।। ১৫। মেঘ-মৃদঙ্গ-নাদৈঃ - মেঘরূপ মৃদঙ্গ-ধ্বনি-সমূহের দ্বারা; আবিষ্কৃতম্ - প্রকটিত; বনেষু - বন-সমূহে; প্রবঙ্গমোদীরিত-কণ্ঠতালম্ - ভেকদিগের দ্বারা উচ্চারিত [যেখানে]; যত্পাদতন্ত্রী-মধুরাভিধানম্ - ভ্রমররূপ বীণার মধুর গীতি যেখানে; সূত্রধার-মুখশব্দ। কণ্ঠের তাল সঙ্গীতম্ ইব - গানের মত; প্রবৃত্তম্ - আরন্ধ

 

বঙ্গানুবাদঃ

বনসমূহে মেঘরূপ-মৃদঙ্গের শব্দের দ্বারা প্রকটিত ভ্রমর-রূপ বীণার মধুর নিরুণ যেখানে এবং ভেকনাদ-রূপ কণ্ঠ-তাল যেখানে এরূপ সঙ্গীত যেন আরম্ভ হয়েছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১৬

नद्यः समुद्वाहितचक्रवाकास्तटानि शीर्णान्यपवाहयित्वा

दृप्ता नवप्रावृत-पूर्णभोगा द्रुतं स्वभर्तारमुपोपयान्ति१६

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

সমুদ্রাহিত-চক্রবাকাঃ - চক্রবাকসমূহকে সম্যরূপে বহন করে; নব- প্রাভূত-পূর্ণভোগাঃ - নূতন পুষ্পাদি উপহারে ভোগ পূর্ণ হয়েছে যাদের; দৃপ্তাঃ - গর্বিত; শীর্ণানি - কৃশ; পতিত; ৩টানি - তীরসমূহ; অপবাহয়িত্বা - প্লাবিত করে বা বিদূরিত করে; দ্রুতম্ - তাড়াতাড়ি; স্বভর্তারম্ উপ - নিজের স্বামীর কাছে; উপযান্তি - যাচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

চক্রবাকসমূহ বহন করে, নূতন-পুষ্পাদ্যুপহার-পূর্ণভোগা গর্বিতা নদীগুলি শীর্ণ তট প্লাবিত করে শীঘ্র স্বীয় ভর্তা সমূদ্রের নিকট উপস্থিত হচ্ছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১৭

नवाम्बुधारा-हतकेसराणि द्रुतं परित्यज्य सरोरुहाणि

कदम्वपुष्पाणि सकेसराणि नवानि हृष्टा भ्रमराः पतन्ति१७

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

জষ্টাঃ - আনন্দিত; ভ্রমরাঃ - ভ্রমর-সমূহ; নবাসুধারাহতকেশরাণি - নূতন জলধারার দ্বারা হত হয়েছে কেশর যাদের; সরোরুহাণি - পদ্মসমূহ; দ্রুতম্ - তাড়াতাড়ি; পরিত্যজ্য - পরিত্যাগ করে; নবানি - নূতন; সকেশরাণি - কেশরযুক্ত; কদম্বপুষ্পাণি – কদম্ব ফুল সমূহে; পতন্তি - পড়ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

আনন্দিত ভ্রমরেরা নূতন জলধারা-দ্বারা বিনষ্টকেশর পদ্মগুলিকে দ্রুত পরিত্যাগ করে নূতন সকেশর কদম্ব-পুষ্পসমূহে পতিত হচ্ছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১৮

मत्ता गजेन्द्रा मुदिता गवेन्द्रा वनेषु विश्रान्ततरा मृगेन्द्राः

रम्या नगेन्द्रा निभृता नरेन्द्राः प्रक्रीड़ितो वारिधरैः सुरेन्द्रः१८

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

গজেন্দ্রাঃ - শ্রেষ্ঠ গজসমূহ; মত্তাঃ - মত্ত হয়েছে; গবেন্দ্রাঃ - শ্রেষ্ঠ ষাঁড়গুলি; মুদিতাঃ - আনন্দিত হয়েছে; মৃগেন্দ্রাঃ - সিংহগুলি; বনেষু - বনে; বিক্রান্ততরা - অতিশয় বিক্রমশালী; নগেন্দ্রাঃ - শ্রেষ্ঠ পর্বতগুলি; রম্যাঃ - মনোরম; নরেন্দ্রাঃ - রাজারা; নিভৃতাঃ - নির্জন; নিশ্চল; সুরেন্দ্রঃ - ইন্দ্রদেব; বারিধরৈঃ - মেঘসমূহের সঙ্গে; প্রক্রীড়িতঃ - খেলা করছেন

 

বঙ্গানুবাদঃ

মহা গজেরা উন্মত্ত, বৃষভগণ হৃষ্ট, সিংহগণ বনসমূহে অত্যন্ত বিক্রমশালী, মহাপর্বতসমূহ পল্লব ও পুষ্পের দ্বারা মনোহর, রাজাগণ অত্যন্ত যুদ্ধোৎসাহী এবং দেবেন্দ্র মেঘসমূহের সঙ্গে ক্রীড়াশীল।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ১৯

वर्षप्रवेगा विपुलाः पतन्ति प्रवान्ति वाताः समुदीर्णघोषाः

प्रनष्टकूलाः प्रवहन्ति शीघ्रं नद्यो जलैर्विप्रतिपन्नमार्गाः।। १९ ।।

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

বিপুলাঃ - খুব বেশী; বর্ষপ্রবেগাঃ - বৃষ্টির বেগ; পতন্তি - পড়ছে; সমুদীর্ণঘোষাঃ - সমুচ্চারিত শব্দ অর্থাৎ খুব শব্দ করে; বাতাঃ - বাতাস; প্রবাস্তি - বইছে প্রনষ্টকুলা - তীর ভেঙ্গে; নদ্যঃ - নদীসমূহ; জলৈঃ - জলের দ্বারা; বিপ্রতিপন্নমার্গাঃ - পথ ভুলিয়ে; শীঘ্রন - তাড়াতাড়ি; প্রবহন্তি - প্রবাহিত হচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

নিরস্তর অতি বেগে বৃষ্টি পড়ছে, অতিগম্ভীর-শব্দে বায়ু বইছে, ভগ্নতীর নদীসমূহ জলের দ্বারা জনগণের যাতায়াতের পথ ভুলিয়ে দ্রুত প্রবাহিত হচ্ছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ২০

नरैनरेन्द्रा इव पर्वतेन्द्राः सुरेन्द्रदत्तैः पवनोपनीतैः

घनाम्बुकुम्भैरभिषिच्यमाना रूपं श्रियं स्वामिव दर्शयन्ति१०

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

নরৈঃ - মানবদের দ্বারা; নরেন্দ্রাঃ - রাজগণ; ইব - মত; যেমন; সুরেন্দ্রদত্তৈঃ - দেবরাজ ইন্দ্র-প্রদত্ত; পবনোপনীতৈঃ - বায়ুর দ্বারা আনীত; ঘনাম্বুকুস্তৈঃ - মেঘজলরূপ কলসসমূহের দ্বারা; অভিষিচ্যমানাঃ - অভিষিক্ত হয়ে; পর্বতেন্দ্রাঃ - শ্রেষ্ঠ পর্বতগুলি; রূপং - রূপ; স্বাং - নিজের; শ্রিয়ম্ ইব - লক্ষ্মীর মত; দর্শয়ন্তি - দেখাচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

প্রজাদের দ্বারা রাজা যেরূপ অভিষিক্ত হন, সেরূপ ইন্দ্রপ্রেরিত এবং পবনানীত মেঘরূপ জলকনা সমূহের দ্বারা অভিষিক্ত হয়ে মহাপর্বত সমূহ নিজের রূপ ও ঐশ্বর্য দেখাচ্ছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ২১

घनोपगूढ़ गगनं तारा भास्करो दर्शनमभ्युपैति

नवैर्जलौघैर्धरणी वितृप्ता तमोविलिप्ता दिश०: प्रकाशाः२१

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

গগনম্ - আকাশ; ঘনোপগূঢ়ম্ - মেঘের দ্বারা ঢাকা; ন - না; তারা - নক্ষত্র; ন - না; ভাস্করঃ - সূর্য; দর্শনম্ অভ্যুপৈতি - দেখা যায়; নবৈঃ - নূতন; জলৌধৈঃ - জল-সমূহের দ্বারা; ধরণী - পৃথিবী; বিতৃপ্তা - বিশেষভাবে তৃপ্ত; তমোবিলিপ্তাঃ - অন্ধকারাচ্ছন্ন; দিশঃ - দিক্সমূহ; ন - না; প্রকাশাঃ - প্রসন্ন; স্পষ্ট

 

বঙ্গানুবাদঃ

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, নক্ষত্র বা সূর্য দেখা যাচ্ছে না, পৃথিবী নূতন জলসমূহের দ্বারা বিশেষভাবে তৃপ্ত, অন্ধকারাবৃত দিক সমূহ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ২২

महान्ति कूटानि महीघराणां धाराविधौतान्यधिकं विभान्ति

महाप्रमाणैर्विपुलैः प्रपातैमुक्ताकलापैरिव लम्बमानैः ।। २२ ।।

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

লম্বমানৈঃ - লম্বমান; মুক্তা-কলাপৈঃ ইব - মুক্তালঙ্কারের মত; মহাপ্রমাণৈঃ - মহাপরিমাণ; বিপুলৈঃ - গভীর; প্রপাতৈঃ - জলপ্রপাতসমূহের দ্বারা; মহীধরাণাম্ - ধারা-বিধৌত; মহান্তি - উচ্চ; কুটানি - শৃঙ্গসমূহ; অধিকম্ - বেশী; বিভান্তি - সুন্দর - পর্বতগুলির; ধারাবিধৌতানি দেখা যাচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

লম্বমান মুক্তালঙ্কারের মত অতিবিস্তৃত বিপুল জলপ্রপাতসমূহের দ্বারা ধারা-বিধৌত পর্বতগুলির উচ্চ শৃঙ্গসমূহ বেশী সুন্দর দেখাচ্ছে।

 

মূল সংস্কৃত শ্লোকঃ ২৩

शीघ्रप्रवेगा विपुलाः प्रपाता निर्धांतशृङ्गोपतला गिरीणाम्

मुक्ताकलापप्रतिमाः पतन्तः महागुहोत्सङ्गतलैर्धियन्ते ।। २३ ।।

 

শ্লোকের অন্বয় ও শব্দার্থঃ

গিরীণাম্ - পর্বতসমূহের; নির্ধৌত-শৃঙ্গোপতলাঃ - পর্বত-শৃঙ্গের নিকটস্থ তলদেশ যাদের দ্বারা বিধৌত হচ্ছে শীঘ্র-প্রবেগাঃ - সত্বর-প্রবহণশীল; বিপুলাঃ - গভীর; মুক্তাকলাপ-প্রতিমাঃ - মুক্তা-সমূহের মত বা মুক্তার ভূষণের তুল্য; পতন্তঃ - পতনশীল; প্রপাতাঃ - জলপ্রপাতসমূহ, ঝরণাসমূহ; মহাগুহোৎসঙ্গতলৈঃ - বড় গুহার কোল বা সানু-প্রদেশের দ্বারা; প্রিয়ন্তে - ধৃত বা রক্ষিত হচ্ছে

 

বঙ্গানুবাদঃ

পর্বতদিগের শৃঙ্গের সমীপপ্রদেশ প্রক্ষালিত করে অতিবেগশীল গভীর মুক্তা-সমূহ-সদৃশ পতনশীল নির্ঝরগুলি বড় গুহাগুলির মধ্যতলের দ্বারা ধৃত হচ্ছে।

 


আমাদের এই  পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । এই ভাবেই sanskritshiksha.in ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। আপনার ছাত্রছাত্রী, বন্ধু-বান্ধবী সকলকে sanskritshiksha.in ওয়েবসাইট সম্পর্কে এবং এর তথ্যপূর্ণ নোটস সম্পর্কে জানান। যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে sanskritshiksha.in ওয়েবসাইট টি ফলো করুন এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন। sanskritshiksha.in ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার মতামত জানান।  আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত সাদরে বিবেচনা করা হবে। ধন্যবাদ।



No comments:

Post a Comment