(toc) #title=( সূচিপত্র)
আর্যাবর্তের প্রজাগরণের দীর্ঘদিন পর্যন্ত জীবিত থাকার কারণ লেখ।
অথবা
“সমস্ত– ব্যাধি- ব্যতিকরাঃ পুরুষায়ুষ - জীবিন্যঃ।”
পুরুষ প্রমাণ পর্যন্ত প্রজাদের জীবিত থাকার কারণ গুলি লেখ।
এখানে Class-12 এর সংস্কৃত বিষয়ের যা আলোচিত হয়েছে -
| ক্রমিক সংখ্যা | পাঠ্যের বিষয় |
|---|---|
| ১ | Class-12 সংস্কৃত "আর্যাবর্তবর্ণনম্" এর প্রশ্নোত্তর |
পাঠ্য সম্পর্কিত তথ্য
পাঠ্যের নাম |
আর্যাবর্তবর্ণনম্ এর প্রশ্নোত্তর |
উৎস |
মহাভারতের বনপর্ব |
উপাখ্যান |
নল - দময়ন্তী |
মূল গ্রন্থ |
নলচম্পূ |
উচ্ছ্বাস |
প্রথম |
রচয়িতা |
কবি ত্রিবিক্রমভট্ট |
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সংস্কৃত বিষয়ে মহাভারত এর বনপর্ব এর নল-দময়ন্তী উপাখ্যান অবলম্বনে কবি ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত "নলচম্পূ" কাব্য এর প্রথম উচ্ছ্বাস থেকে নেওয়া "আর্যাবর্তবর্ণনম্" এর প্রশ্নোত্তর গুলি পড়লে পরীক্ষায় ১০০% নম্বর অবশ্যই পাবে।
আর্যাবর্তের প্রজাগরণের দীর্ঘদিন পর্যন্ত জীবিত থাকার কারণ লেখ।
অথবা
“সমস্ত– ব্যাধি- ব্যতিকরাঃ পুরুষায়ুষ- জীবিন্যঃ।”
পুরুষ প্রমাণ পর্যন্ত প্রজাদের জীবিত থাকার কারণ গুলি লেখ।
আর্যাবর্তের প্রজাগনের দীর্ঘজীবী হওয়ার কারণঃ
চম্পূ সাহিত্যের অন্যতম
কবি ত্রিবিক্রম ভট্ট বরচিত নলচম্পূ গ্রন্থের প্রথম উচ্ছ্বাসের থেকে গৃহীত
আর্যাবর্তবর্ণনম্ নামক পাঠ্যাংশে পাহাড়, পর্বত, নদী প্রভৃতি প্রাকৃতিক পরিবেশের যেমন সুন্দর চিত্র ফুটে
উঠেছে তেমনি নাগরিক জীবনের তথা সমাজের কুসংস্কার বিহীন সুস্থ পরিবেশের এক
অত্ত্যুজ্জ্বল চিত্র পরিস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। যে সমস্ত কারণগুলি জন্য আর্যাবর্তের
মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে বলে কবি উল্লেখ করেছেন সেগুলি হল-
(getButton) #text=(উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন) #icon=(demo) #color=(#4cd137)
‘সমস্ত– ব্যাধি- ব্যতিকরাঃ’ অর্থাৎ কোন প্রকার রোগ না থাকাঃ
আর্যাবর্তে কোন প্রকার
রোগ, বিশেষত কুষ্ঠ রোগ এবং কোন ঔষধের দোকানও ছিল না কেননা ঔষধ এর
প্রয়োজনই হতো না।
ফোঁড়া বা ফুসকুড়ি রোগ না থাকাঃ
আর্যাবর্তে ব্যাকরণে
জ্ঞানী পণ্ডিতরাই স্ফোটবাদ তথা শব্দব্রহ্মবাদের
জ্ঞাতা ছিলেন অর্থাৎ ‘স্ফোটপ্রবাদো বৈষাকরণেষু’, কিন্তু সেখানকার প্রজাদের মধ্যে স্ফোট অর্থাৎ ফোঁড়া বা ফুসকুড়ি রোগ ছিল
না।
গ্রহ সংক্রান্তি না থাকাঃ
আর্যাবর্তের জ্যোতিষ
শাস্ত্রে বা গণনা শাস্ত্রে সূর্য চন্দ্র নক্ষত্রাদির সংক্রান্তি ছিল অর্থাৎ ‘গ্রহসংক্রান্তি- র্জ্যোতিঃশাস্ত্রেষু’, কিন্তু প্রজাদের মধ্যে কোন প্রকার সংক্রমণ বা গ্রহ কলহ এবং গ্রহ কৃত
দুর্দৈব ছিল না। এমনকি সেখানে রাহুকৃত পীড়ন বা রাহুর গ্রাসও
ছিল না।
(getButton) #text=(কর্মযোগ এর প্রশ্ন উত্তর) #icon=(demo) #color=(#e74c3c)
ভূতপ্রেতাদির উপদ্রব না থাকাঃ
আর্যাবর্তের সাংখ্য
শাস্ত্রে ভূত বিকারবাদ বা পঞ্চভূতত্ত্বের বিকৃতিবাদ রয়েছে অর্থাৎ ‘ভূতধিকারবাদঃ সাংখ্যেষু’, কিন্তু সেখানকার
ভূতপ্রেতাদির উপদ্রব বা বিকার ছিল না।
গুল্ম রোগ না থাকাঃ
আর্যাবর্তের বনভূমিতেই
শুধুমাত্র গুল্মো লতার বৃদ্ধি ঘটতো অর্থাৎ ‘গুল্ম- বৃদ্ধির্বন- ভূমিষু’, কিন্তু সেখানকার জনগণের
মধ্যে কোন প্রকার গুল্ম রোগ ছিল না।
গলগ্রহণ রোগ না থাকাঃ
আর্যাবর্তের নদীর জলের
মাছ এদের মধ্যে শুধুমাত্র গলগ্রহণ নামক বিকার ছিল। কিন্তু জনগণের মধ্যে এইরূপ কোন
মনোবিকার ছিল না।
গলগন্ডো রোগ না থাকাঃ
গন্ডক অর্থাৎ গন্ডারের
উত্থান শুধুমাত্র আর্যাবর্তের পার্বত্য গণপ্রদেশেই ছিল। কিন্তু প্রজাদের গন্ডস্থলে
কোন ফোড়া বা গলগন্ডো রোগ হতো না। তাই কবি
যথার্থই বলেছেন –
“গণ্ডকোত্থানং পর্বত-
বন- ভূমিষু দৃশ্যতে ন প্রজাসু।”
অম্লশূল রোগ না থাকাঃ
আর্যাবর্তের চন্ডী দেবীর
মন্দিরেই শুধুমাত্র শূল নামক অস্ত্র দেখা যেত। কিন্তু প্রজাদের মধ্যে অম্লশূল নামক
রোগ দেখা যেত না।
উপসংহারঃ
সর্বোপরি বলা যায় যে
আর্যাবর্তের সুরম্য প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সুস্বাস্থ্যপূর্ণ সামাজিক পরিবেশ এতটাই
সমৃদ্ধ ছিল যে,
প্রজাদের মধ্যে কোন প্রকার দৈহিক তথা মানসিক বিকার ঘটনা না।
তাই কবি যথার্থই বলেছেন যে –
“যস্মিন্ অনবরত- ধর্ম- কর্মোপদেশ- শান্ত- সমস্ত– ব্যাধি- ব্যতিকরাঃ পুরুষায়ুষ- জীবিন্যঃ সকল- সংসার- সুখভাজঃ প্রজাঃ।”
এই পাঠ্যের বৈশিষ্ট্য গুলি হলঃ
| ক্রমিক সংখ্যা | মূল ও আনুবাদের বৈশিষ্ট্য |
|---|---|
| ১। | সহজ সরল ভাষায় লেখা। |
| ২। | উত্তরের মধ্যে অযথা পাণ্ডিত্য প্রকাশ করা হয়নি। |
| ৩। | ভাষা ও শব্দের পরিমিত প্রয়োগ করা হয়েছে। |
| ৪। | যেখানে প্রয়োজন কেবলমাত্র সেখানেই যথাযথ উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। |
| ৫। | উত্তরের আকার অযথা বড় বা ছোট করা হয়নি। |
| ৬। | উত্তরগুলি ছাত্রছাত্রীদের রুচিসম্মত ভাবে ছোট ছোট অংশে লেখা হয়েছে। |
| ৭। | যথাযথ ভাবে উত্তর পড়লে পরীক্ষায় ১০০% নম্বর অবশ্যই পারবে। |
আরো পড়ুন ........
1. দৃশ্যকাব্য নাট্যসাহিত্য এর সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর
3. সংস্কৃত শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য
সংস্কৃত শিক্ষক কর্তৃক কুড়ি বছরের শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা প্রসূত এই পাঠ্য গুলি সংস্কৃত বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দর ভাবে পড়ার ও বোঝার যোগ্য করে রচিত। Class 12 এর বহু ছাত্র-ছাত্রী এই পাঠ্য পড়ে পরীক্ষায় ৯০% থেকে ১০০% নম্বর পেয়েছে।
আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ । এই ভাবেই sanskritshiksha.in ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। আপনার ছাত্রছাত্রী, বন্ধু-বান্ধবী সকলকে sanskritshiksha.in ওয়েবসাইট সম্পর্কে এবং এর তথ্যপূর্ণ নোটস সম্পর্কে জানান।
যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে sanskritshiksha.in ওয়েবসাইট টি ফলো করুন এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন। sanskritshiksha.in
ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত সাদরে বিবেচনা করা
হবে। ধন্যবাদ।

No comments:
Post a Comment